শনিবার, ডিসেম্বর ৭

ইসলামী আন্দোলন ১০ দফা দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিল

0

ঢাকা অফিস: পাবলিক পরীক্ষায় ধর্ম শিক্ষা পূর্বের ন্যায় বহালসহ দশ দফা দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইসলামী আন্দোলনের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে এই স্মারকলিপি দেন। ইসলামী আন্দোলনের দশ দফা দাবির মধ্যে আছে। ১. শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়নে অভিজ্ঞ দ্বীনদার আলেমদেরকে সম্পৃক্ত করা। ২. শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক ও সকল পরীক্ষায় আবশ্যিক করা। ৩. ডারউইনের অপ্রমাণিত, ভ্রান্ত ও বিতর্কিত বিবর্তনবাদ শিক্ষার সকল স্তর থেকে বাদ দেওয়া। ৪. পাঠ্য পুস্তকের সকল বিষয় হতে অনৈসলামিক ও ইসলামী বিশ্বাস বিরোধী বিষয় ও শব্দসমূহ বাদ দেওয়া। ৫. ইসলাম ধর্ম শিক্ষার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে কুরআনুল কারীম শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করা। ৬. মাদরাসা শিক্ষার কারিকুলাম, শিক্ষানীতিমালা-২০১০ অনুযায়ী মাদরাসা সংশ্লিষ্ট আলেম, দ্বীনদার শিক্ষকদের দ্বারা পূনমার্জন করা। ৭. নৈতিকতা সমৃদ্ধ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে সকল ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য নিজ নিজ ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা। ৮. বাংলা, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান ও ইতিহাস বই হতে বিতর্কিত ও ইসলামী আকিদা বিরোধী প্রবন্ধসমূহ বাদ দেওয়া। ৯. স্কুল ও মাদরাসার সকল পাঠ্যপুস্তক অপ্রয়োজনীয় এবং অশ্লীল চিত্রমুক্ত রাখা এবং ১০. যেহেতু এদেশের সাধারণ জনগণই এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যয়ভারের সিংহভাগ বহন করেন, সেহেতু জোর করে চাপিয়ে দেওয়া শিক্ষা ব্যবস্থা নয় বরং এ দেশবাসীর ধর্মীয় চেতনার অনুকূল শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার আগে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে এক সমাবেশ করে ইসলামী আন্দোলন। সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। বক্তারা বলেন, ‘বর্তমান সরকার ইসলামী শিক্ষা ধ্বংসের সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ঈমান, তাহজীব-তামাদ্দুন রক্ষায় সর্বস্তরের ঈমানদার জনতাকে এগিয়ে আসতে হবে।’ সমাবেশ শেষে তারা মিছিল নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে যাত্রা করে। মিছিলটি গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে পৌঁছালে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এরপর পাঁচ সদস্যর একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে প্রবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লা আল মাদানী, গাজী আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান মুজাহিদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দীয় সহকারী মহাসচিব এবং ঢাকা মিহানগর দক্ষিন সভাপতি ইমতিয়াজ আলম।

Share.