শনিবার, ডিসেম্বর ৭

পুলিশের মুখে ‘স্প্রে’ করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ছিনিয়ে নিল জঙ্গিরা

0

ঢাকা অফিস: জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যার মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে ছিনিয়ে নিয়েছে জঙ্গিরা। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পলাতকরা আসামিরা হলেন, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুরের মইনুল হাসান শামীম ও লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার ভেটেশ্বর গ্রামের আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। তারা জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে মোটরসাইকেল করে আসা চার জঙ্গি তাদের ছিনিয়ে নেয় পুলিশের কাছ থেকে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ সন্ত্রাসবিরোধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করে হাজত খানায় নেওয়ার সময় চারজনের মধ্যে দুই জনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আরও ৪ জঙ্গি জড়িত। তারা দুটি মোটরসাইকেল করে আদালতে এসেছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা শুনেছি আদালতের গেটে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের চোখে স্প্রে করে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়েছে অপর জঙ্গিরা। চার জন জঙ্গি মোটরসাইকেল করে আদালতে এসে দুই জনকে ছিনিয়ে নেয় পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে। চোখে স্প্রে করার কারণে দায়িত্বরতরা কিছু দেখতে পারেনি। সন্ত্রাসবিরোধ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, ঢাকা সন্ত্রাসবিরোধ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, ঢাকা তিনি বলেন, ঘটনার পরপর আমরা ঢাকা শহরের চেকপোস্ট বসিয়েছি। আমাদের ডিবির প্রত্যেকটা টিম কাজ করছে। আশা করছি তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পারবো। জঙ্গিরা বিভিন্ন কৌশল করে কাজ করে। এবার তারা নতুন একটি কৌশল নিয়েছে, স্প্রে মেরে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া। ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবের নাম রয়েছেন। এর আগে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেদিন বিকেলে তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। চার্জশিটে ৮ জনকে অভিযুক্ত ও ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

Share.