বিএনপি একটা ছুতো খুঁজছে, কীভাবে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়: কাদের

0

ঢাকা অফিস: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি নানাভাবে টালবাহানা ও ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, তারা একটা ছুতো খুঁজছে, কীভাবে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। আর নির্বাচনে হারলেই ইভিএম খারাপ এবং জিতলে ইভিএম ভালো, বিএনপির এ ধরনের অবস্থানও সঠিক নয়। আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কাদের এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি সব সময় দিবাস্বপ্ন দেখে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি বলেছিল, তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। তারা বলেছিল, বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ফলাফল কী হয়েছে তা জাতি দেখেছে। এবারও দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে তারা বলছে, তাদের প্রার্থীদের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। কারণ ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। সরকার দলীয় প্রার্থী ছাড়া অন্য কাউকে ভোট দিলে সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন হবে না বলে নগরবাসী জানে। তারা জানে তাদের (বিএনপি) প্রার্থীকে ভোট দিলে কোনো উন্নয়ন হবে না। তাদের ভোট দিয়ে কী লাভ? সরস্বতী পূজার দিন নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করার দাবিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা অনশন করছে। শেষে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে তারিখের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার এখনও অনড় অবস্থানে আছে, সে অধিকার তাদের আছে। আমরা কোনো সিদ্ধান্ত তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে পারি না। তাদের বিরুদ্ধেও আমরা যেতে পারি না। তারা যদি মনে করে, ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়টি বিবেচনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তাছাড়া আমরা আগেও বলেছি, সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করলে আওয়ামী লীগ বা সরকারের কোনো আপত্তি নেই। তবে তারিখ পরিবর্তনের এখতিয়ার সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের। আমি আবারও বলব যে, বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে নির্বাচন কমিশন সংক্ষুব্ধদের সঙ্গে বসবেন এবং এর মীমাংসা করবেন। ইভিএমের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা আলাপ-আলোচনা করেছেন। তখন ইভিএম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তখন কিন্তু বিএনপি এ বিষয়ে কোনো প্রতিবাদ করেনি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে মন্তব্য করেছেন তা বিভ্রান্তিকর। কারণ তিনি নিজেও ইভিএম পদ্ধতির ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন বগুড়া সদর আসন থেকে। সর্বশেষ ইভিএমে বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া পৌরসভায় যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাতে বিএনপির প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। এর চেয়ে প্রকৃষ্ট উদাহরণ আর কী হতে পারে? অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুই সিটির নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের ওপর দলের শৃঙ্খলা কমিটি চাপ প্রয়োগ করছে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য। দুই সিটিতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিষয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা ক্লিন ইমেজের দুজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছি। জনগণ স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীকে পছন্দ করে। আগামী নির্বাচনে দুই সিটিতে মেয়র হিসেবে আমাদের প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন বলে আমি আশা করি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

Share.