বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১৪

ব্রিটেনে স্বেচ্ছাসেবকরা আগামী সপ্তাহেই করোনা ভ্যাকসিন নেবেন

0

ডেস্ক রিপোর্ট:  ঘাতক করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে উঠেপড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর এবার যুক্তরাজ্যের গবেষকরাও করোনার টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করতে যাচ্ছেন। দেশটির গবেষকরা বলছেন, স্বেচ্ছাসেবীদের শরীরে আগামী সপ্তাহেই সম্ভাব্য করোনভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হতে পারে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা এমন একটি ভ্যাকসিন তৈরির জন্য কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যেটা লোকজনকে কভিড-১৯ এ সংক্রমিত হতে বাধা দেবে। মানব পরীক্ষায় যদি সফল হয় তাহলে এটা হবে যুগান্তকারী এক আবিষ্কার। তারা আশা করছেন শিগগিরই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য একজন প্রার্থী প্রস্তুত থাকবেন। তার শরীরে এটা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। সফল হলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিনটির কমপক্ষে এক কোটি ডোজ সরবরাহ করার আশা করছেন দলটি। গবেষক দলটির প্রধান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনোলজির অধ্যাপক সারা গিলবার্ট জানিয়েছেন, ‘আশা করছি আগামী শরৎকালের মধ্যে সাধারণ জনগণের জন্য একটি ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। তবে ভ্যাকসিনের ফলাফল সবসময়ই অজানা থাকে এবং বিজ্ঞানীরা কখনই নিশ্চিত হতে পারেন না যে ভ্যাকসিনগুলি কার্যকর হচ্ছে।’ অধ্যাপক গিলবার্ট ভ্যাকসিনটির সাফল্যের বিষয়ে ৮০ শতাংশ আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেছিলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি। এটি আমার দৃষ্টিভঙ্গি, কারণ আমি এই প্রযুক্তির সাথে অনেক কাজ করেছি। আমি ম্যাস ভ্যাকসিন ট্রায়ালগুলিতে কাজ করেছি এবং আমি কী করতে পারি তা দেখিয়েছি। আমি মনে করি, এটির কাজ করার দারুন সুযোগ রয়েছে।’ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজটি কখন মানুষের মাঝে সরবরাহ করা হতে পারে জানতে চাইলে, গবেষণা দলটির প্রধান তদন্তকারী অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেছিলেন যে, উৎপাদন থেকে পরীক্ষার শেষ অংশটি কখন শেষ হচ্ছে সেটার উপর তা নির্ভর করে। তবে এটি পরবর্তী সপ্তাহ বা তার মধ্যেই প্রথম পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। আমরা যত তাড়াতাড়ি পারব তা নিশ্চিত করব।’

Share.