মোদির টুইটারও আনফলো হোয়াইটহাউজের, উদ্বিগ্ন রাহুল

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের টুইটারও আনফলো করেছে হোয়াইটহাউজ। আনফলো করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের টুইট হ্যান্ডেলটিও। এই ঘটনাকে যথেষ্ট অপ্রীতিকর মনে করছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। তার মতে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যালয় তথা বাসভবনের এমন আচরণ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। টুইটারে রাহুল লিখেছেন, ‘হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর টুইটার আনফলো করার বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগের। আমার অনুরোধ, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের উচিৎ বিষয়টিকে গুরুত্বের সহকারে বিশ্লেষণ করা।’ ‌বুধবারই প্রথম নজরে আসে নরেন্দ্র মোদির নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট, তার দপ্তরের টুইট অ্যাকাউন্ট, রাষ্ট্রপতির টুইট এমনকি ভারতীয় দূতাবাসের টুইট অ্যাকাউন্টও আনফলো করে দিয়েছে হোয়াইট হাউজ।এরপরই দ্রুত গতিতে সমালোচনা ছড়াতে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কয়েকদিন আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথা মতো ম্যালেরিয়া রোধক হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনসহ অনেক ওষুধ রপ্তানিতে রাজি হয়েছিল ভারত সরকার। সে বিষয়টিও সামনে নিয়ে আসছেন দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা।নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক হোয়াইট হাউজ কর্মী সংবাদসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) জানান, সাধারণত হোয়াইট হাউজে আন্তঃদপ্তর যোগাযোগ রক্ষার জন্যই টুইটার ব্যাবহার করা হয়। অন্যান্য সংযোগরক্ষার কাজ করা হয় পরিস্থিতির নিরিখে, স্বল্প মেয়াদের জন্য। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের আগে তাই ভারতের গুরুত্বপূর্ণ টুইট অ্যাকাউন্টগুলিকে ফলো করেছিল হোয়াইট হাউজ।”যদিও এমন বক্তব্যে মোম গলছে না। অনেক ভারতীয়ই বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।

Share.