বিনোদন ডেস্ক: করোনাকালীন সময়ে যখন বাইরে বের হওয়া নিষেধ তখনও ব্যস্ত রয়েছেন বেশ কিছু তারকা। কেউ আসছেন লাইভে, কেউ গাইছেন গান। ঘরে বসে শুটিংও করেছেনে কেউ কেউ। তবে দুই বাংলা মিলে একটা শর্টফিল্ম নির্মানের ঘটনা বোধহয় এটাই প্রথম। এ দেশের জনপ্রিয় পরিচালক শাহরিয়ার পলক এই কাজটি করলেন এবার। দুই দেশের অভিনয়শিল্পীদের কাজে লাগিয়ে নির্মান করলেন একটি দুর্দান্ত শর্টফিল্ম।এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে শাহরিয়ার পলক বলেন, ‘কলকাতার প্রোডাকশন হাউস ‘টিভিওয়ালা’ মিডিয়ার কর্নধার অমিত গাঙ্গুলি আমার খুব ভালো বন্ধু। তিনি লকডাউন সিচ্যুয়েশনে হঠাৎ করেই বললেন বাড়িতে বসে কিছু একটা বানাও। তবে এমন কিছু বানাও যেটা দুই বাংলার এই কারেন্ট সিচুয়েশন তুলে ধরবে। এই ভাবনা থেকেই অমিত দাদা খুজে বের করলেন রাইটার অভ্র চক্ররবর্তিকে। তার ছোট গল্প ‘দূরে থাকা কাছের মানুষ’ খুব মনে ধরলো আমার । গল্পটা এই সময়ে বিবেচনা করে সব দিক থেকেই পার্ফেক্ট।’তিনি জানান, এরপরই গল্পের স্ক্রিপ্ট শেয়ার করা হল বাংলাদেশের অভিনেত্রি মিথিলা ও কলকাতার হিরো ভিক্রম এর সাথে। বলা হল বাড়িতে বসে যে, যার মোবাইল ফোনে শ্যুটিং করে দেবে আমার ডিরেকশনে। ব্যস দুজনেই রাজি হয়ে গেলেন কাজটি করতে। বাংলাদেশের হাউস প্রেক্ষাগৃহ ভিজ্যুয়াল ফ্যাক্টরি আর কলকাতার টিভিওয়ালা মিডিয়ার কর্মীরা লেগে গেলো কাজে। বাড়িতে বসেই শুরু হল কাজ। স্ক্রিপ্ট আর গল্পের আউটলাইনিং তৈরি হয়ে গেল। পলক বলেন, তারপর প্রায় ২ দিন শুটিং হল মিথিলার সাথে, বাকি দুদিন ভিক্রমের সাথে। যেহেতু দু জন দু দেশে, যার যার বাড়িতে, সে হেতু কিছুটা সমস্যা হচ্ছিলো এই নুতন মাধ্যমে [ অনলাইন] কাজ করতে গিয়ে। সবার যথেষ্ট সহযোগিতা না থাকলে এধরনের কাজ করা খুব মুশকিল।’অবশেষে শ্যুটিং শেষ হলে শুরু হল ফুটেজ ট্রান্সফার এবং এডিটিং। প্রেক্ষাগৃহই করেছে পোস্ট প্রোডাকশন এবং সাউন্ড। মিউজিক এর কাজ করেছে বিটকল-মিউজিক ।দুরে থাকা কাছের মানুষ আজ থেকে দেখা যাবে ইউটিউব চ্যানেল ধ্রব-টিভিতে । পরিচালক জানালেন, এই ফিল্ম এর ডিজিটাল রিলিজ থেকে আয়কৃত অর্থ, আগামিতে প্রদান করা হবে দু দেশের সিনে-ক্রদের মাঝে। যারা প্রোডাকশনের রুট লেভেলে কাজ করে। শাহরিয়ার পলক বলেন, আসলে এই ধরনের কাজ এটাই আমার প্রথম। একটা নতুন অভিজ্ঞতা হলো। সবার একটা সহযোগিতা ছিলো বলেই সম্ভব হয়েছে।
করোনায় নতুন পদ্ধতিতে শর্টফিল্মের শ্যুটিং
0
Share.