বিপর্যস্ত ফিলিপিন্স, ৯০ শতাংশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

0

ডেস্ক রিপোর্ট: শক্তিশালী সুপার টাইফুনের আঘাতে বিপর্যস্ত ফিলিপিন্স। চারদিকে শুধু ঝড়ের তাণ্ডবের চিত্র। সাজানো ঘরবাড়ি একদিনেই লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে টাইফুন ‘গনি’। বিভিন্ন জায়গায় বন্যা এবং ভূমিধস দেখা দিয়েছে। এতে বাড়ছে ভোগান্তি। ফিলিপিন্সের ‘ভিরাক’ পৌরসভার ৯০ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানায় আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেডক্রস। দেশটির চেয়ারম্যান ডিক গর্ডন বলেন, ঘূর্ণিঝড় গনির কবলে পড়ে ‘ভিরাক’ পৌরসভার ৭০ হাজার মানুষ তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জানা যায়, রোববার (২ অক্টোবর) পর্যন্ত ঝড়ের তাণ্ডবে এ পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।  রাজধানী ম্যানিলার কয়েক হাজার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে গনি ফিলিপিন্সের মূল দ্বীপ লুজনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্যাতানদুয়ানেস দ্বীপ দিয়ে সাগর থেকে স্থলে উঠে আসে। এরপর ফের সাগর হয়ে টাইফুনটি ‘ধ্বংসাত্মক’ প্রবল বাতাস ও তীব্র বৃষ্টিসহ দ্বিতীয়বার স্থলে উঠে। এতে ওই অঞ্চলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে ক্যাতানদুয়ানেস দ্বীপে। রেডক্রসের তথ্যমতে, বিদ্যুৎ সংযোগ ক্ষতিগ্রস্তের পাশাপাশি তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির। এদিকে সেখানকার বিমানবন্দর এবং সমুদ্রবন্দরেও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।দেশটির ‘বিকল‘ অঞ্চলে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন বহু মানুষ। কুইজন প্রদেশের ১০টি শহরেও একই পরিস্থিতি। একদিকে করোনা অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ে এখন অনেকটায় দিশেহারা ফিলিপিন্সে সরকার। ঘূর্ণিঝড় কেটে গেলেও সাগর উত্তাল থাকায় এখনো কাটেনি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া।বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান রিকার্ডো জালাড বলেন, ৩ লাখ ৪৭ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন।ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পুনর্বাসনে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হওয়ায় ব্যহত হচ্ছে উদ্ধার তৎপরতা।

Share.