শিক্ষিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা, প্যান্ট ও মোবাইল ফেলেই পালালেন যুবক

0

বাংলাদেশ থেকে সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবক উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের শুড়িগাঁও গ্রামের আইয়ুব আলীর পুত্র হুমায়ুন ফরিদ (২৬)। তবে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত ১৩ মার্চ উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের শুড়িগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই স্কুলশিক্ষিকা দোয়ারা বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছে দোয়ার বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবদুলাল। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে দোয়ারাবাজার থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং অভিযোগের বিষয়ে সরজমিন তদন্ত করেন। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের স্কুলশিক্ষিকা নিজ বসতবাড়িতে রাতে খাবার খেয়ে সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে যান। মধ্যরাতে উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের শুড়িগাঁও গ্রামের আইয়ুব আলীর পুত্র হুমায়ুন ফরিদ। স্কুলশিক্ষিকার বসতঘরের জানালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। ঘুমন্ত শিক্ষিকার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। রাতের আঁধারে ধস্তাদস্তির সময় শিক্ষিকার চিৎকার শুনে অপর খাটে ঘুমিয়ে থাকা স্বামী লাইট জ্বালিয়ে বখাটেকে ধরে ফেলেন। পরে তার সাথে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই ধস্তাদস্তির একপর্যায়ে স্বামীর হাত কামড়ে পরনের প্যান্ট এবং মোবাইল ফেলেই পালিয়ে যায়। পরে তার বিরুদ্ধে দোয়ারাবাজার থানায় ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ করেন ওই শিক্ষিকা। ভিকটিমের স্বামী জানান, ঘটনার পর থেকে বখাটের পক্ষ নিয়ে এলাকার কিছুসংখ্যক প্রভাবশালী লোক বিষয়টি আপস-মীমাংসায় সমাধান এবং আইনি প্রক্রিয়ায় না যেতে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে আসছে। ঘটনার চার দিন পেরিয়ে গেলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। বখাটে এখনও প্রকাশ্যে এলাকায় ঘোরাফেরা করছে। দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর বলেন, ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তির পরনের প্যান্ট এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

Share.