ডেস্ক রিপোর্ট: তেহরানের প্রতি সম্মান দিয়ে কথা বলতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান। শনিবার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি। একইসঙ্গে আমেরিকার ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি তেহরান প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এর আগে টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মরগ্যান ওরটাগুস। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবেই তেহরানের নির্মাণ খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যদি কোনও দেশ ইরানকে নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করে তাহলে সে দেশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। পাল্টা টুইটে মরগ্যান ওরটাগুস-এর এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেন মুসাভি। তিনি বলেন, আমরা সর্বোচ্চ স্থিতিস্থাপকতা, বিচক্ষণতা ও আশাবাদ দিয়ে আপনাদের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতিকে ব্যর্থ করে দিয়েছি। আব্বাস মুসাভি বলেন, ইরান বিগত চার দশকের মতো বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিও উৎরে যেতে সক্ষম হবে। আর এ ঘটনা থেকে আমেরিকাকে এই শিক্ষা নিতে হবে যে, তাকে ইরানি জনগণকে সম্মান জানিয়ে কথা বলতে হবে। নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতিতে ফিরে আসতে হবে। ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে ঘোষণা দিয়ে তেহরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি গ্রহণ করে হোয়াইট হাউস। যুক্তরাষ্ট্রের এমন নীতি প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেয় তেহরান। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেছেন, তার দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান নিষেধাজ্ঞা ইতিহাসে নজিরবিহীন। তবে ইরান এই নিষেধাজ্ঞাকে ব্যর্থ করে আমেরিকাকে এমন শিক্ষা দেবে যে, তাও হবে ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। সূত্র: পার্স টুডে, ব্লুমবার্গ।
সম্মান দিয়ে কথা বলুন: যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান
0
Share.