আগামীতে পেঁয়াজ নিয়ে কোন সঙ্কট সৃষ্টি হবে না: কৃষিমন্ত্রী

0

ঢাকা অফিস: পেঁয়াজ নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমানে দাম কিছুটা বৃদ্ধি থাকলেও স্থিতিশীল রয়েছে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়, তবে আগামীতে পেঁয়াজ নিয়ে কোন সঙ্কট সৃষ্টি হবে না। যদি আমদানী করতেই হয়, তবে আগে থেকেই আমদানীর ব্যবস্থা করা হবে। কৃষকরা যাতে পেঁয়াজের উৎপাদনের ন্যায্যমূল্যে পায়, স্থানীয় পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণের নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এ তথ্য জানান। তিনি জানান, দেশে ২৩ থেকে ২৪ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, কিন্তু চাহিদা রয়েছে ৩০ থেকে ৩২ লাখ মেট্রিক টন। অবশিষ্ট চাহিদা পূরণে পেঁয়াজ আমদানী করা হয়। গত মৌসুমে অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষেত্রেই পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়, ফলে অধিক ঘাটতির সৃষ্টি হয়। পাশ্ববর্তী দেশ ভারত হঠাৎ করে পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে দেশে হু হু করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পায়, আমরা বাজারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। সরকার থেকে দ্রুত চীন, মিশরসহ কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানী করে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, পেঁয়াজের বিষয়টি সরকার এবার গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। মাঠ পর্যায়ে নানা প্রণোদনা প্রদানের কারণে অতীতের তুলনায় এবার অধিকহারে পেঁয়াজ উৎপাদন হবে। এক্ষেত্রে আমরা আমদানী বন্ধ করে দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনকারী কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্যে পায় সে ব্যবস্থা করা হবে। কারণ পেঁয়াজ পচনশীল। ভরা মৌসুমে কৃষকরা পেঁয়াজ খুব অল্পমূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। এতে পেঁয়াজ উৎপাদনে তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। আগামীতে এটা যেন না হয় সে ব্যাপারে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জাসদের শিরীন আখতারের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে ড. আবদুর রাজ্জাক জানান, বাজারে পেঁয়াজের দাম এখনও কিছুটা বেশি। কিন্তু পেঁয়াজের দাম ১১০ টাকা কেজি কোনভাবেই থাকবে না, অবশ্যই অনেক কমে আসবে। আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি, এবার ২৩-২৪ লাখ মেট্রিক টনের অনেক বেশি উৎপাদিত হবে, পেঁয়াজের দাম দ্রুতই কমে আসবে। আর ভারতও পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ফলে কোন অসুবিধা হবে না। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আহসানুল হক টিটুর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, পেঁয়াজ ও পেঁয়াজ বীজ সংরক্ষণের জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সংরক্ষণ উপকরণ সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে চাহিদা পুরণের লক্ষ্যে কৃষকদের মাঝে উন্নতমানের পেঁয়াজ বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। আর যেহেতু পেঁয়াজ দ্রুত পচনশীল পণ্য, তাই কৃষকের সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করা এবং কৃষকদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

Share.