বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬

চুক্তিতে সায় দেবে পার্লামেন্ট, বিশ্বাস বরিস জনসনের

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে আসার পর একটু স্বস্তির খবর মিলেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের। অনেক চেষ্টার পর অবশেষে তার চুক্তিকে সম্মতি জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে এটুকু স্বস্তি নিয়ে সুবিধে করতে পারছেন না তিনি। কারণ এর আগে তার পূর্বসূরিরাও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে চুক্তিতে সম্মতি আনলেও পার্লামেন্টে তা পাস করাতে পারেননি। তবে বরিসের বিশ্বাস, তার চুক্তিতে সায় দেবে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। আজ শনিবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বরিসের নতুন চুক্তি নিয়ে ভোটাভুটি হবে। তার আগে বরিস জনসন আশা প্রকাশ করে বলেন, তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন, এ ব্যাপারে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী। আর ৩১ অক্টোবরের সময়সীমার মধ্যেই সেক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছেড়ে বেরনোর প্রক্রিয়াও সম্ভব হবে। তবে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ডিইউপি এবং অন্য বিরোধী দলগুলি বরিসের চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিরোধী লেবার পার্টির অন্দরে যারা বিদ্রোহী এবং কনজারভেটিভ দলের সাবেক সদস্যদের বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে বরিসকে। প্রধানমন্ত্রীর এক মুখপাত্র আজ জানিয়েছেন, তিনি এবং তার গোটা দল হাউস অব কমন্সের এমপিদের ফোন করে করে বুঝিয়ে বরিসের চুক্তির জন্য সমর্থন পাকা করার কাজটি করবেন। এ বিষয়ে কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকও করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যেই জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ইইউ নেতাদের বলেছেন, শনিবার যদি ব্রিটিশ এমপিরা ব্রেক্সিট চুক্তিতে সায় না দেন, তাহলে ব্রেক্সিটের জন্য অতিরিক্ত সময়সীমা দেওয়া ছাড়া পথ খোলা নেই। ইইউয়ের শীর্ষ বৈঠকে আঙ্গেলা অন্য নেতাদের বলেছেন, ব্রেক্সিট নিয়ে অতিরিক্ত সময় চেয়ে ব্রিটেনের তরফে অনুরোধ এলে সেটা ভেবে দেখতেই হবে। ব্রেক্সিট একটি ঐতিহাসিক বিষয়। তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে ব্রিটেনকে চুক্তি ছাড়া ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া উচিত হবে না। বিশেষ করে ব্রিটেনের তরফে যদি সময়ের আবেদন আসে। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক ম্যার্কেলের সঙ্গে একমত হলেও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লদ ইয়ুঙ্কারের বিবৃতির সঙ্গে এই মন্তব্য খাপ খায় না। ইয়ুঙ্কার সম্প্রতি বলেছেন, ব্রেক্সিটের মেয়াদ বাড়ানোর সম্ভাবনা তিনি উড়িয়েই দিচ্ছেন। তার বক্তব্য, ‘আমাদের যদি চুক্তি হয়, চুক্তি হবে। সে ক্ষেত্রে সময় বাড়ানোর প্রশ্নই নেই’। যদিও ইয়ুঙ্কার প্রাথমিকভাবে ব্রেক্সিটের মেয়াদ বৃদ্ধির পক্ষেই ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে বরিসের সঙ্গে নয়া চুক্তি আলোচনার পরে তাতে সর্বসম্মতিক্রমে ইইউ নেতারা সায় দেন। তার পরেই ইয়ুঙ্কার ইইউ নেতাদের বলেন, এ ক্ষেত্রে মেয়াদ বৃদ্ধির আলোচনা শেষপর্যন্ত কোনো সাহায্য করবে না।

Share.