শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭

জনসনের দলের বিপক্ষে প্রার্থী দেবে না ব্রেক্সিট পার্টি: ফারাজ

0

ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে ইউরোপপন্থীদের হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বরিস জনসনের কনজারভেটিভ ও নাইজেল ফারাজের ব্রেক্সিট পার্টি। এ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে এর বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রেক্সিট পার্টি। ইংল্যান্ডের হার্টেলপুলে এক নির্বাচনি সমাবেশে এ ঘোষণা দেন দলের নেতা নাইজেল ফারাজ। দীর্ঘ টানাপড়েন আর অনিশ্চয়তার পর সম্প্রতি ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-জনসন সমঝোতা হলেও ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তা অনুমোদন পায়নি। ২৮ অক্টোবর ইইউ-এর পক্ষ থেকে ব্রেক্সিট কার্যকরের পূর্বনির্ধারিত সূচি ৩১ অক্টোবর থেকে ৩ মাস বাড়িয়ে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওই প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মতি জানান বরিস জনসন। ২৯ অক্টোবর ব্রিটিশ এমপিরা আগাম নির্বাচনে জনসনের প্রস্তাবে দেন। ফলে আগামী ১২ ডিসেম্বর দেশটির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৯২৩ সালের পর ডিসেম্বরে এটিই হবে প্রথম নির্বাচন। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই ব্রিটিশ রাজনীতিতে জনসনের চেয়েও আলোচিত ব্যক্তি নাইজেল ফারাজ। ব্রেক্সিট ইস্যুর নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির অনেক ভোট নষ্ট করতে পারে এই ব্রেক্সিট পার্টি। এ পার্টি নির্বাচনে কনজারভেটিভদের বিরুদ্ধে না দাঁড়ালেও ইউরোপপন্থী পার্টি ও লেবার পার্টির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ফারাজের এমন সিদ্ধান্ত জনসনের জন্য ইতিবাচক ফল নিয়ে আসবে এবং টোরিদের ভোটও পাবেন তিনি। ফারাজ বলেন, ‘গত নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি যে ৩১৭টি আসনে জিতেছিল, ওই আসনগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না ব্রেক্সিট পার্টি। এর ফলে দ্বিতীয় গণভোটের পথ রুদ্ধ হবে। আমার মনে হয়েছে এই মুহূর্তে এটাই সবচেয়ে সঠিক কাজ।’ যুক্তরাজ্যের ইন্ডিপেন্ডেন্স পার্টির সাবেক এ নেতা এর আগে বলেছিলেন, ইউরোপের সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রশ্নে ব্রাসেলসের দেওয়া শর্ত জনসন ত্যাগ না করলে ব্রেক্সিট পার্টি পার্লামেন্টের ৬০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ফারাজের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জনসন। তিনি বলেন, ‘আমি খুশি যে, কনজারভেটিভ পার্টিকে ভোট দিলেই ব্রেক্সিট সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে এমন স্বীকৃতি পাওয়া গেছে।’ ২০১৭ সালের নির্বাচনে পার্লামেন্টের ৬৫০টি আসনের মধ্যে কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছিল ৩১৭টি আসন। কিন্তু কয়েকজন আইন প্রণেতার বহিষ্কার ও ব্রেক্সিট নিয়ে পদত্যাগের কারণে আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ২৯৮। ফারাজের সিদ্ধান্তের ফলে ক্ষমতাসীন পার্টিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেতে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Share.