প্রাণ ভিক্ষা চাওয়ায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ার দিনে আটকে গেল ‘ফাঁসি’

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ফাঁসি কার্যকর হওয়ার দিনে আটকে গেল দিল্লির মেডিকেল শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ ও নির্যাতনের পর ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির ফাঁসি। রাষ্ট্রপতির কাছে এক আসামির প্রাণ ভিক্ষা চাওয়ায় আজ তাদের ফাঁসি হচ্ছে না। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টায় তাদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কথা ছিলে। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) প্রাণভিক্ষা চাওয়ার ফলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দিনক্ষণ বাতিল করা হয়েছে। দিল্লির আদালত শুক্রবার এ আদেশ দিয়েছেন। এখন আদালতের পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাবে না। আলোচিত এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজন হলেন- মুকেশ শর্মা, অক্ষয় কুমার সিং ও পবন গুপ্তা। পবন গুপ্তা দাবি করেছেন, ২০১২ সালে ওই অপরাধ করার সময় তিনি নাবালক ছিল। তবে সর্বশেষ অভিযুক্ত বিনয় শর্মা প্রাণভিক্ষার কারণেই শুক্রবার ফাঁসির হাত থেকে আপাতত বেঁচে গেছেন অভিযুক্তরা। শুক্রবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি নতুন পিটিশন ফাইল দাখিল করা হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দেন। এর পর পরই বিনয় শর্মা রাষ্ট্রপতি বরাবর ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন জানান। এদিকে রাষ্ট্রপতি যদি প্রাণভিক্ষার আবেদন তাৎক্ষণিক খারিজ করেও দেন, তবুও আগামী ১৪ দিনের আগে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা যাবে না। কারণ ভারতের আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে করা ক্ষমার আবেদন খারিজ থেকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময়ের মধ্যে অন্তত দুই সপ্তাহ ব্যবধান থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বরের রাতে গণধর্ষণের পরে চলন্ত বাস থেকে দিল্লির রাস্তায় ছুড়ে ফেলা হয়েছিল নির্ভয়াকে। এতে গুরুতর আহত হওয়া নির্ভয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় ছয় জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। তাদের এক জন মারা যাওয়ায় তাকে মামলার বাইরে রাখা হয় এবং আরেকজন ওই সময় অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। ২০১৭ সালের ৫ মে বাকি চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। রায়ের পর চার আসামিই তা রিভিউয়ের আবেদন করে। ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়ে ফাঁসির রায় বহাল রাখে আদালত।

Share.