শনিবার, ডিসেম্বর ৭

বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা যুবক নিহত

0

ঢাকা অফিস: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। বিজিবির দাবি, নিহত ব্যক্তি ইয়াবা পাচারে জড়িত ছিল। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোররাতে টেকনাফ উপজেলার লেদা ছ্যুরি খাল সীমান্তের বেড়িবাঁধে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে। নিহত রোহিঙ্গা যুবক মিয়ানমারের মোতালেবের ছেলে নুর কবির (২৮)। তিনি টেকনাফের জাদিমুরা ব্রিটিশ পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। বিজিবির দাবি, ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিজেদের দুই সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিজিবি। টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, টেকনাফ উপজেলার লেদা ছ্যুরি খাল সীমান্তের বেড়িবাঁধ এলাকায় ৩-৪ জন লোককে কেওড়া বাগানের মাটি খুঁড়তে দেখেন টহলরত বিজিবির সদস্যরা। এসময় টর্চ লাইটের আলোতে তারা দেখতে পান মাটির ভেতর থেকে একটি কালো পলিথিনের বস্তা বের করা হচ্ছে। পরে বিষয়টির অনুসন্ধানে বিজিবির সদস্যরা এগিয়ে গেলে তাদের ওপর গুলি চালানো হয়। এসময় বিজিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালান। দুই পক্ষের মধ্যে ৮-১০ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে পাচারকারীরা পিছু হটলে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে পাঠান। সেখানকার ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিজিবির ওই কর্মকর্তা জানান, ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি কক্সবাজার মর্গে রয়েছে এবং এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলেছে। টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক টিটু চন্দ্র শীল বলেন, গুলিবিদ্ধ এক রোহিঙ্গা যুবককে নিয়ে আসা হয়, তার শরীরে গুলির আঘাত ছিল। এছাড়া আহত দুই বিজিবি সদস্যকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গত দুই বছরে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় মাদকবিরোধী অভিযানে ১৭৯ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন নারীসহ ৫১ জন রোহিঙ্গা সদস্য রয়েছেন।

Share.