সোমবার, ডিসেম্বর ৩০

সুশান্তের মৃত্যু: রিয়াদের সমস্ত গ্যাজেট বাজেয়াপ্ত

0

বিনোদন ডেস্ক: মঙ্গলবার তৃতীয় বারের জন্য ইডি দপ্তরে গিয়ে হাজিরা দিলেন বলিউডের প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের চর্চিত প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। এবার বাজেয়াপ্ত করা হল তার দুটি মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ। তার ভাই শৌভিক ও বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীর মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া তাদের ব্যবহৃত আরও দুটি ল্যাপটপ, দুটি আইপ্যাড বাজেয়াপ্ত করে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে ইডির তরফ থেকে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার ইডির দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয় সুশান্তের বড় বোন মিতু সিংকেও। এদিন সকালেই ইডি দপ্তরে ঢুকতে দেখা যায় অভিনেতার বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানী এবং সাবেক ম্যানেজার শ্রুতি মেদীকে। এর আগেও ডেকে পাঠানো হয়েছিল শ্রুতিকে। রিয়ার বয়ানের সঙ্গে তার বয়ানে অনেক অসঙ্গতি পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছিল ইডির তরফ থেকে।এর আগে সোমবার টানা ১০ ঘন্টা জেরা করা হয় রিয়ার পরিবারকে। তার আগের দিন ১৮ ঘন্টা জেরা করা হয় রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকেও। কিন্তু অভিযোগ, তদন্তে সাহায্য করছেন না রিয়া। অনেক প্রশ্নের উত্তরই জানি না, মনে নেই বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।অন্যদিকে, রিয়ার বিরুদ্ধে ওঠা টাকা নয়ছয় নিয়ে এখনো পর্যন্ত সরাসরি কোনো জবাব না দিলেও সুশান্তের সাবেক ম্যানেজার শ্রুতি সিবিআইকে জানিয়েছেন, সুশান্তের যাবতীয় সিদ্ধান্ত রিয়াই নিতেন।১৪ জুন সুশান্তকে প্রথম ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেছিলেন বন্ধু সিদ্ধার্থ। ব্যাংক সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য জানতেন তিনি। যেকারণেই প্রথম থেকে ইডির তালিকায় ছিল সিদ্ধার্থের নাম। এছাড়া সুশান্তের ক্রিয়েটিভ ম্যানেজারও ছিলেন সিদ্ধার্থ।তার বয়ানেও অসঙ্গতি। যদিও সিবিআই এখনও তাকে ডাকেনি। আগেই দুইবার তিনি হাজিরা দিয়ে ফেলেছেন ইডি অফিসে। এদিকে সুশান্তের বাবা কেকে সিং জানিয়েছেন, রিয়া তাকে ফোন আর হোয়্যাটসঅ্যাপে ব্লক করে দিয়েছিল। এমনকী ছেলের ফোন থেকেও। আর সাবেক ম্যানেজার শ্রুতিকে বারবার অনুরোধ করার পরও তিনি যোগাযোগ করেননি। এরপর তারা অভিনেতা সাবেক প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখন্ডেকে অনুরোধ করেছিলেন সুশান্তের কোনো নম্বর জোগা়ড় করে দিতে। ততদিনে ছেলের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ খুবই ক্ষীণ। এদিকে ছেলে বলত সে একদম ভালো নেই। এদিকে রিয়ার ভাই শৌভিককে নিয়েও রহস্য গাঢ় হচ্ছে। সুশান্তের দুটি কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন তার এই মডেল বান্ধবী। পাশাপাশি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও খুলেছিলেন তারা। কিন্তু কোনও সংস্থাই লাভের মুখ দেখেনি। তার পরও রিয়া এমন লাইফস্টাইল কীভাবে বজায় রাখতেন, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

Share.