শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭

হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির দাবি ইরানের

0

ডেস্ক রিপোর্ট: সম্প্রতি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে ইরান। রেভল্যুশনারি গার্ডস এর এরোস্পেস কমান্ডারকে উদ্ধৃত করে দেশটির আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিমের প্রতিবেদনে এমন দাবি উঠার পর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ার শঙ্কা করছে বিশ্ব। হাইপারসনিক মিসাইল শব্দের গতির চেয়ে অন্তত পাঁচগুণ দ্রুত এবং একটি জটিল গতিপথে উড়তে পারে, যার ফলে তাদের আটকানো বেশ কঠিন।কমান্ডার আমির আলী হাজিজাদেহর উদ্বৃতি দিয়ে তাসনিমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এই ক্ষেপণাস্ত্রটির উচ্চ গতি রয়েছে। এটি বায়ুমণ্ডলের মধ্যে এবং বাইরে কৌশলে চালানো সম্ভব। ক্ষেপণাস্ত্রটি শত্রুর উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী সিস্টেমকে লক্ষ্যবস্তু করবে এবং ক্ষেপণাস্ত্রের জগতে এটি কয়েক প্রজন্ম এগিয়ে।’ তবে ইরানের দ্বারা এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে ইসলামী প্রজাতন্ত্র আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে একটি বৃহৎ অভ্যন্তরীণ অস্ত্র শিল্প গড়ে তুলেছে। এ নিয়ে পশ্চিমা সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান কখনো কখনো তার অস্ত্রের ক্ষমতাকে অতিরঞ্জিত করে। ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে উদ্বেগ অবশ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে ২০১৫ সালে বিশ্ব শক্তির সঙ্গে তেহরান স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে বেরিয়ে যাওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তের কারণেই দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহে, ইরান বলেছে তারা ঘায়েম-১০০ পরীক্ষা করেছে। এটি তার প্রথম তিন-পর্যায়ের মহাকাশ উৎক্ষেপণ বাহন যা পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ৫০০ কিলোমিটার কক্ষপথে ৮০ কেজি ওজনের উপগ্রহ স্থাপন করতে সক্ষম হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ধরনের পদক্ষেপকে ‘অস্থিতিশীল’ বলে অভিহিত করেছে কারণ তারা বিশ্বাস করে, মহাকাশ উৎক্ষেপণ যানগুলি পারমাণবিক ওয়ারহেড পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে পরমাণু অস্ত্র তৈরির কথা অস্বীকার করেছে ইরান।

Share.