লাইফস্টাইল ডেস্ক: গ্রীষ্মের গরমে কম-বেশি সকলেই ঘেমে ভিজে যাই আমরা। এটাকে খুবই সাধারণভাবে নিয়ে থাকি। অনেকের আবার বারো মাসই ঘেমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যায়। এটাকে স্বাভাবিকভাবে নেয়া মোটেও ঠিক নয়। কেননা, শরীরের ভিতরে একাধিক অসুবিধার জন্য এ সমস্যা হতে পারে।কাজ বা পরিশ্রম করলে ঘাম হওয়া স্বাভাবিক। তবে পাশে থাকা অন্য ব্যক্তিদের থেকে তুলনামূলক বেশি ঘামা কিন্তু ভালো নয়। অতিরিক্ত ঘামের পেছনে অবশ্যই কোনো কারণ রয়েছে। হতে পারে বড় কোনো রোগের লক্ষণ এটা। অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
কারণ খোঁজার সঠিক সময় : ঘাম হতে পারে। ছোট সময় থেকেই ঘাম একটু বেশি হয়। এতে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তবে হঠাৎ করে শরীরে ঘাম বেশি হলে বা বেশি ঘামছেন মনে করলে এর পেছনে কোনো কারণ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কেননা, শারীরিক অসুস্থতার বার্তা দিচ্ছে অতিরিক্ত এই ঘাম।
এক নজরে কারণগুলো : সাধারণত শরীরের মেটাবোলিজম রেটের উপর নির্ভর করে ঘাম। মেটাবোলিজম বেশি থাকলে ঘামের পরিমাণ বেশি হয়। এছাড়াও বেশি পরিশ্রমের ফলে ঘাম বেশি হয়। বেশি ঘেমে যাওয়া হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণের মধ্যে একটি। হার্টের কোনো সমস্যা থাকলে রোগীর বেশি ঘাম হয়ে থাকে। আবার ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গেলেও ঘাম হয়ে থাকে। হঠাৎ করে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেলেও বেশি ঘাম হতে পারে।এছাড়া অতিরিক্ত উদ্বেগের জন্য ঘাম হয়ে থাকে। কেননা, উদ্বেগে হরমোনের ভারসাম্য ব্যাহত হয়। এ কারণে যারা মানসিক চাপে থাকেন তাদের ঘাম অনেক বেশি হয়। অন্যদিকে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা হয়ে থাকে।ঘামের সঙ্গে সোডিয়াম, পটাশিয়াম বাই-কার্বোনেট উপাদান বের হয়ে যায়। এতে দুর্বল হয়ে পড়ে শরীর। এ জন্য নিয়মিত স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া লেবুর শরবত, দইয়ের ঘোল ও ডাবের পানি খাওয়া যেতে পারে। যারা ফলমূল খেতে পছন্দ করেন তারা বাজার থেকে টাটকা ফলমূল কিনে এনে জুস বানিয়ে খেতে পারেন। এতে শরীর বিভিন্ন পুষ্টি গুণাগুণ পাবে।