অনাস্থা ভোটে ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

0

ডেস্ক রিপোর্ট: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে আজ। ভোটে হেরে গেলে ক্ষমতাচ্যুত হবেন তিনি। আর জিতলে এই যাত্রায় টিকে গিয়ে ইতিহাসের অংশ হবেন। কেননা দেশটিতে কোনো নির্বাচিত সরকারই ক্ষমতার মেয়াদ শেষ করতে পারেনি। ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে হটাতে জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল বিরোধীরা। খোদ ইমরানের দলের অনেক শরিকরাও এতে যোগ দেন। ওই প্রস্তাবের ওপর গত ৩ এপ্রিল ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। তবে সেদিন পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার এই বলে অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করেন যে এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একই সঙ্গে ইমরানের খানের অনুরোধে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রি কোর্টের দারস্থ হন বিরোধীরা। গত বৃহস্পতিবার অনাস্থা ভোট খারিজ ও জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। একই সঙ্গে পার্লামেন্ট পুনর্বহালের আদেশ দিয়ে শনিবার অনাস্থ ভোট আয়োজন করতে বলেন আদালত। সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী, আজ শনিবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের অধিবেশন আহ্বান করতে বাধ্য জাতীয় পরিষদের স্পিকার। ৩ এপ্রিলের আলোচ্যসূচির সঙ্গে মিল রেখে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেই এই অধিবেশন শুরু করতে হবে। ৩৪২ আসনের পার্লামেন্টের মধ্যে ১৭২ জনের সমর্থনের প্রয়োজন ইমরান খানের সরকারের পতনের জন্য। বিরোধীদের দাবি, তাদের সেই সমর্থন রয়েছে। এদিকে পার্লামেন্ট পুনর্বহালে সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি জানান, জাতীয় পরিষদ পুনর্বহালের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও তিনি এই রায়ে দুঃখিত। ভাষণে ইমরান খান বলেন, ‘দেশের ন্যায়বিচারের অভিভাবক বিচার বিভাগ, এটি আমি সবসময় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। ডেপুটি স্পিকার সংবিধানের ৫ অনুচ্ছেদের বলে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন মুলতবি এবং বিরোধী জোটের অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করেছিলেন।’ ‘আমি এখনও বলতে চাই বিরোধীদের এই অনাস্থা প্রস্তাবে বিদেশি হস্তক্ষেপ ছিল। সুপ্রিম কোর্ট অন্তত বিদেশি হস্তক্ষেপের এই বিষয়ে নজর দেবে বলে আমি চেয়েছিলাম। অন্য একটি দেশ চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করে পাকিস্তান সরকারের পতন ঘটাতে উঠেপড়ে লেগেছে, এটি গুরুতর অভিযোগ। আমি আশা করেছিলাম সুপ্রিম কোর্ট এই অভিযোগ তদন্ত করে দেখবে।

Share.