ঢাকা অফিস: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে রাজধানীতে ঢিলেঢালা হরতাল পালন করছে বিএনপি। অবশ্য রবিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া সকাল-সন্ধ্যা এই হরতালের বড় কোনো প্রভাব ঢাকার রাস্তায় দেখা যায়নি। বাংলাদেশ সময় সকালে হরতালের শুরুতে বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা কম থাকলেও অন্যান্য যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। রাজধানীর খিলগাঁও, পল্টন, রামপুরা, মালিবাগ, গুলশান, মহাখালী, আজিমপুর, শাহবাগ, বাংলামোটর, ফার্মগেইট এলাকা ঘুরে হরতালের এমন চিত্রই দেখা গেছে। ঢাকা সিটি নির্বাচনের কারণে গত কয়েক দিন ধরেই নগরীতে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থান ছিল। রবিবার বাংলাদেশ সময় সকালেও মোড়ে মোড়ে পুলিশ দেখা গেছে। নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গেইটের সামনে চেয়ার পেতে বসে হরতালের সমর্থনে স্লোগান দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী। তবে ঢাকার অন্য কোথাও হরতালের সমর্থনে বিএনপিকর্মীদের তেমন কোনো তৎপরতার খবর পাওয়া যায়নি। দিনের প্রথমভাগে কোথাও কোনো গোলযোগও ঘটেনি বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। শনিবার ঢাকার দুই সিটির ভোট শেষে সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলন থেকে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে এই হরতালের ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ নির্বাচনে ঢাকা উত্তরে ও দক্ষিণ সিটিতে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেনকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নূর তাপস। ইভিএমের এই ভোটে ‘ভয়াবহ রকমের কারচুপি, জালিয়াতি, জবরদস্তির’ অভিযোগ করে ফখরুল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “জনগণের রায়কে একেবারে পদদলিত করে দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই নির্বাচনকে প্রভাবিত ও লুট করে ফলাফল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।” পরে কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকেও এই হরতালে সমর্থনের ঘোষণা দেওয়া হয়, যে জোটে বিএনপিও আছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি ওই নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তি ঘিরে ২০১৫ সালের শুরু থেকে টানা তিন মাস হরতাল-অবরোধ করে। এরপর এই প্রথম তাদের কোনো হরতাল হচ্ছে।
অনেকদিন পর ঢিলেঢালা হরতাল পালন করছে বিএনপি
0
Share.