স্পোর্টস ডেস্ক: চা-বিরতির সময় ৫ উইকেটে ২২৫ রান নিয়ে স্বস্তিতেই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় সেশনে উইকেট পড়েছে মাত্র একটি, ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান খেলছেন আস্থার সঙ্গে। কিন্তু দলটার আরেক নাম যে ‘চোকার্স’! চাপের মুখে ভেঙে পড়ার ইতিহাসকে আরেকটু দীর্ঘায়িত করে প্রোটিয়ারা ২৪৮ রানে অলআউট। দ্বিতীয় টেস্ট ১৮৯ রানে জিতে চার ম্যাচের সিরিজে সমতা নিয়ে এসেছে ইংল্যান্ড। ১৯৫৭ সালের পর কেপটাউনে এটাই তাদের প্রথম টেস্ট জয়। ৪৩৮ রানের প্রায় অসম্ভব লক্ষ্যের দিকে স্বাগতিকরা যে ছুটবে না, তা বোঝা যাচ্ছিল আগের দিনই। আজ দিনের শুরুতে ‘নাইটওয়াচম্যান’ কেশব মহারাজকে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি বেশি দূর যেতে পারেননি, সম্ভাবনা জাগিয়েও অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি পাননি পিটার মালান (৮৪)। তবে রাসি ফন ডার ডুসেনকে নিয়ে দাঁড়িয়ে যান কুইন্টন ডি কক। প্রায় ৩৪ ওভার অবিচ্ছিন্ন ছিলেন দুজনে। প্রোটিয়ারা তখন ম্যাচ বাঁচানোর স্বপ্নও দেখছিল। কিন্তু ফিফটি করা ডি ককের ভুলে ভেঙে গেছে সেই স্বপ্ন। অনিয়মিত লেগস্পিনার জো ডেনলিকে অযথা পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটকিপার। এরপর আর পেরে ওঠেনি স্বাগতিকরা। টানা দুই বলে উইকেট নিলেও হ্যাটট্রিক করতে পারেননি বেন স্টোকস। তবে শেষ উইকেট নিয়ে তিনিই গুটিয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষকে। ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও এই অলরাউন্ডার। ১৬ জানুয়ারি পোর্ট এলিজাবেথে শুরু হবে তৃতীয় টেস্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ২৬৯ (পোপ ৬১*, স্টোকস ৪৭; রাবাদা ৩/৬৮) ও ৩৯১/৮ ডিক্লে. (সিবলি ১৩৩*, স্টোকস ৭২, রুট ৬১; নর্কিয়া ৩/৬১)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২২৩ (এলগার ৮৮, ফন ডার ডুসেন ৬৮; অ্যান্ডারসন ৫/৪০) ও ২৪৮ (মালান ৮৪, এলগার ৩৪, হামজা ১৮, মহারাজ ২, ডু প্লেসি ১৯, ফন ডার ডুসেন ১৭, ডি কক ৫০, ফিল্যান্ডার ৮, প্রিটোরিয়াস ০, নর্কিয়া ০, রাবাদা ৩*; স্টোকস ৩/৩৫, অ্যান্ডারসন ২/২৩, ডেনলি ২/৪২, ব্রড ১/৩৭, কারেন ১/৩৭, বেস ১/৫৭)