বিনোদন ডেস্ক: এক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। রবিবার সকালে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। সম্প্রতি তিনি করোনামুক্ত হন, তবে তার নিউমোনিয়াও হয়েছিল। গত ৮ জানুয়ারি ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন লতা। অধিকাংশ সময়ই ছিলেন আইসিইউতে। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সম্প্রতি তাকে কেবিনে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শনিবার ফের বিগড়ে যায় শিল্পীর শারীরিক পরিস্থিতি। ফলে আবারও তাকে আইসিউতে নেওয়া হয়। সেখান থেকেই চলে গেলেন আপন ঠিকানায়। শনিবার লতাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে এসছিলেন তার ছোট বোন আরেক কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী আশা ভোঁসলে। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘চিকিত্সকরা জানিয়েছেন দিদির পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল’। তিনি চিকিত্সায় সাড়া দিচ্ছেন’। কিন্তু শনিবার সকালে আর সাড়া দিলেন না। উড়ে গেছে তার প্রাণ পাখি। ১৯২৯ সালে ইন্দোরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন লতা। সংগীত জগতের অবিসংবাদী সম্রাজ্ঞী হওয়ার আগে শিশু অভিনেতা হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করেছিলেন এই প্রবাদপ্রতিম শিল্পী। ১৯৪২ সালে একটি মারাঠি ছবির সৌজন্যে প্রথম গান রেকর্ড করেন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। লতার সুরেলা কণ্ঠের জাদুতে বুঁদ প্রজন্মের পর প্রজন্ম। ৭০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৩০ হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেছেন লতা মঙ্গেশকর। ২০০১ সালে তাকে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ভারত রত্নে ভূষিত করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে পেয়েছেন নামিদামি অসংখ্য পুরস্কার।
অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর
0
Share.