ডেস্ক রিপোর্ট: জননিরাপত্তা আইনে গৃহবন্দি জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ অবশেষে মুক্তি পেলেন। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয়ার পর থেকেই গৃহবন্দি ছিলেন ফারুক আবদুল্লাহ। দীর্ঘ সাত মাস পর অবশেষে তিনি মুক্তি পেলেন। গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্র। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের থেকে লাদাখকে আলাদা করে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। তারপরই একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় জম্মু-কাশ্মীরে। গণনিরাপত্তা আইনে বন্দি করা হয় ফারুক আবদুল্লাহসহ একাধিক নেতাকে। এই তালিকায় রয়েছেন তার ছেলে ও জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং আরও এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। ফারুক আবদুল্লাহর মেয়ে টুইট করে বলেছেন, আমার বাবা আবার একজন মুক্ত মানুষ। আরও দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতির মুক্তি চেয়ে টুইট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা মুখ্যার্জি। গণনিরাপত্তা আইন বা পাবলিক সেফটি অ্যাক্ট অনুযায়ী কোনও ট্রায়াল ছাড়াই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দু-বছর পর্যন্ত বন্দি করে রাখা যায়। ফারুক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে যে অভিযোদ আনা হয়েছে, তাতে তিন মাস পর্যন্ত তাকে আটক করা যায়। এর আগে একবার তাকে আটক রাখার মেয়ার বৃদ্ধি করে সরকার। তার নিজের বাসভবনেই এতোদিন গৃহবন্দি করে রাখা হয় ফারুক আবদুল্লাহকে।
অবশেষে মুক্তি পেলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক
0
Share.