বিনোদন ডেস্ক: প্রেমের ব্যাপারে আমি খুব সেনসিটিভ। যে কোনো সলিড প্রেম দেখলেই পাশে থাকা আমার অভ্যাস। যাদের প্রেমের পক্ষে কাজ করি তাদের সংসার টেকা না টেকার দায়িত্ব আমার না। টিকে গেলে খুশি হই, ভেঙে গেলে কষ্ট পাই। বহুদিন ধরে দেখছি বাংলাদেশি প্রেমিকদের টানে ভিনদেশি মেয়েরা ছুটে আসছেন। ভালোবাসার ব্যাপার তো! ভালোই লাগছিল। বাংলাদেশের ছেলেরা বারবার প্রমাণ করেছে প্রেমের প্রতি তারা বিশ্বস্ত। স্যালুট সফল প্রেমিকগণ। তবে মেয়েদের ভালোবাসার ব্যাপারে আমার একটা ছোট অবজার্ভেশন আছে। তারা প্রেমও করবে, আবার অবুঝ প্রেমিকের সক্ষমতা নিয়ে খানিক পরেই দ্বিতীয় অপশনের উপস্থিতি জানান দেবে। পাত্র রেডি, ফ্যামিলি থেকে চাপ আছে, হাতে সময় কম, এখন তুমি কী করবে! সবাই তো আর আমার মত বীর প্রেমিক না, কেউ কেউ অসহায় প্রেমিকও হয়। ভালোবাসার হিসাব নিকাশে খেই হারিয়ে ব্যর্থ প্রেমিকের খাতায় নাম লিখিয়ে বিরহবিধুর কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকে এই অভাগাগুলো। প্রেমকান্ত নামের ছেলেটা ভারতের তামিলনাড়ু থেকে বৈধ পথেই বরিশালে এসেছে প্রেমের টানে। এসেই মেয়েটার লোকাল-ফরেন প্রেমিক কোটায় অপমানিত হয়েছে। বাংলাদেশি প্রেমিকরা বিদেশি মেয়েদের সাথে সুন্দর সংসার করছে, অথচ তিন বছরের চলমান প্রেমে প্রেমকান্ত ধোঁকা খেয়ে গেল। জল যতই ঘোলা হোক না কেন, আমার দাবি প্রেমকান্তকে সম্মানজনকভাবে তার দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। একজন সলিড প্রেমিকের পক্ষ নেওয়া পুরুষ হিসেবে আমার দায়িত্ব। সরি প্রেমকান্ত, দেশে ফিরে যাও। আর মনে রেখো- বাংলাদেশের প্রেমিকরা মেয়েদের চেয়ে বহুগুণে সলিড প্রেমের ক্ষেত্রে। তুমি ভুল করেছো সেটা সমস্যা না, ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবে এটাই আশা করি।
কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া