অবৈধদের নাগরিকত্ব দিতে আট বছর মেয়াদি প্রক্রিয়া আনছেন বাইডেন

0

ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় এক কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসীর নাগরিকত্ব দিতে আট বছর মেয়াদি প্রক্রিয়া আনতে যাচ্ছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার শপথ নেওয়ার পর প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরুর দিনই এই বিলে স্বাক্ষর করবেন বাইডেন। শত শত পৃষ্ঠার এই বিল প্রস্তুতে যুক্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে একথা জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। এর আগে বাইডেনের চিফ অব স্টাফ রন ক্লেইন শনিবার এপিকে বলেন, ‘প্রথমদিনই’ বাইডেন কংগ্রেসে অভিবাসন বিল পাঠাবেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈরি অভিবাসন নীতি থেকে বেরিয়ে এসে কোটি মানুষের ভাগ্য নির্ধারণে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেন। এর মধ্য দিয়ে লাতিন ভোটারদের এবং অন্যান্য অভিবাসীদেরকে দেওয়া নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছেন তিনি। গত চার বছর ট্রাম্প প্রশাসন এই কমিউনিটির সঙ্গে অত্যন্ত রুঢ় আচরণ করে। জোরপূর্বক দেশে ফেরত পাঠানোসহ নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় অভিবাসীদের। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী থাকাকালে বাইডেন অভিবাসীদের নিয়ে ট্রাম্পের এসব পদক্ষেপকে আমেরিকার মূল্যবোধের ওপর নির্দয় আঘাত হিসেবে উল্লেখ করে বলতেন, তিনি এসব ক্ষতি পুষিয়ে নেবেন এবং একইসঙ্গে সীমান্ত নিরাপত্তা জারি রাখবেন। পাস হতে যাওয়া নতুন আইন অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারির পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত অবৈধরা পাঁচ বছরের সাময়িক নাগরিকত্ব বা গ্রিন কার্ড পাবেন, যদি তাদের অতীতের করসহ অন্যান্য মৌলিক বিষয়াদি ঠিকঠাক থাকে। এরপর আসবে তিন বছরের স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়া, তখন কেউ চাইলে নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া আরো দ্রুত হতে পারে। যারা শিশু অবস্থায় অবৈধভাবে আমেরিকায় ঢুকেছেন। এ ছাড়া কৃষিশ্রমিক এবং সাময়িক স্ট্যাটাসপ্রাপ্তরা দ্রুত গ্রিন কার্ড পেতে পারেন, যদি তারা কাজে থাকেন। শিশুদের ক্ষেত্রে স্কুলে ভর্তি থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীর সঠিক সংখ্যা জানা প্রায় অসম্ভব। পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে, ২০১৭ সালে এক কোটি পাঁচ লাখ অবৈধ অভিবাসী ছিলেন। ২০০৭ সালে এ সংখ্যা ছিল এক কোটি ২২ লাখ। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের তথ্য মতে, ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এক কোটি ২০ লাখ অবৈধ অভিবাসী ছিলেন। এদের ৮০ শতাংশই ১০ বছরের বেশি সময় ধরে দেশটিতে বসবাস করছেন। এবং এদের অর্ধেকের বেশি মেক্সিকান।

Share.