অ’স্ত্রের মহড়া, পেশিশক্তির ন’গ্ন প্রকাশ: টিআইবি

0

ঢাকা অফিস: পাবনা গণপূর্ত কার্যালয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের অস্ত্রের মহড়া পেশিশক্তির নগ্ন প্রকাশ বলে আখ্যায়িত করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ ঘটনায় রোববার (১৩ জুন) উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে টিআইবি।বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারি ক্রয়, নির্মাণকাজ এবং প্রাতিষ্ঠানিক নানা কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতার জন্য প্রতিযোগিতামূলক যেই টেন্ডার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল, সরকারদলীয় নেতাকর্মী ও স্বার্থান্বেষী মহলের অবৈধ বলপ্রয়োগ, হুমকি-ধমকি এবং জবরদখলে দীর্ঘদিন ধরেই তা অকার্যকর হয়ে আছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট নানা কর্তৃপক্ষ ছোটখাট কিছু ব্যতিক্রম ব্যতীত বরাবরই তা অস্বীকার এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সুরক্ষা প্রদান করে আসছে।পাবনার ঘটনা তারই নজির মাত্র উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, অবিলম্বে এই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এবং উন্মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক টেন্ডার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।আওয়ামী লীগের ওই নেতারা বৈধ অস্ত্র বলে দাবি করার পরিপ্রেক্ষিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, যদি অস্ত্রগুলো বৈধ হয়েও থাকে, তবুও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে জনসম্মুখে এভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করে ভীতি সঞ্চার করা আইনসিদ্ধ হতে পারে না। তাই এঘটনাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলাটা অত্যুক্তি হবে না। এ ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতার সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ‘অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গ হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে’- পুলিশের এমন দায়সারা আশ্বাস আমাদের স্তম্ভিত করেছে।পুলিশের ‘আশ্বাসে’জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ থমকে যাবে কি না, সেই সংশয় প্রকাশ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারি দলসংশ্লিষ্ট হিসেবে এই অস্ত্র মহড়ার কুশীলবরা ছাড় পেয়ে গেলে এ ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বিষাক্ত সাপের মত সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়বে।প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৬ জুন পাবনায় গণপূর্ত বিভাগের দপ্তরে অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রবেশ করেন। হাতে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করার ছবিটি সিসি টিভিতে ধরা পড়ে। তা গণমাধ্যমেও খবর আকারে প্রকাশ হয়।

Share.