ঢাকা অফিস: মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আইভি রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে আইভি রহমান রাজপথে সোচ্চার ছিলেন। তাঁর মতো একজন ভালো মানুষের এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের কক্ষে আজ সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের শুরুতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অনলাইনে এ বৈঠকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিচারণ করেন। ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার বিষয়েও কথা বলেন তিনি।২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার পর ২৪ আগস্ট মারা যান প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ও মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইভি রহমান।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে আইভি রহমান সব সময় মাঠে থাকতেন। তিনি জনসাধারণের পাশে থাকতেন। যেকোনো সভায় তিনি শ্রমিকের সঙ্গে বসে থাকতেন, কারণ তাঁর মধ্যে কোনো অহমিকা ছিল না। এত ভালো একজন মানুষের এমন বীভৎস মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।’একুশে আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গুরুতর আহত অবস্থায় আইভি রহমানকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয় এবং ২৪ আগস্ট তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। আমরা দীর্ঘকাল একসঙ্গে রাজনীতি করেছি।’শেখ হাসিনা আরো বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের ২২ নেতাকর্মী মারা যান এবং তাঁদের মধ্যে চারজন ছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া সেখানে অজ্ঞাতপরিচয় দুজনের লাশ ছিল।‘সম্ভবত ওগুলো আক্রমণকারীদের মৃতদেহ ছিল। আমরা তাদের সম্পর্কে কিছুই জানি না, কেউ তাদের মরদেহ দাবি করতে আসেনি। তবে আমরা আমাদের ২২ নেতাকর্মীকে হারিয়েছি এবং আহত হয়েছিলেন ৬০০-৭০০ জন,’ বলেন শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওই হামলায় আহত অনেকেই চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠার পরও শরীরে থাকা স্প্লিন্টারের কারণে পরে মারা যান। এ ছাড়া অনেকে এখনো তাঁদের দেহে স্প্লিন্টার বহন করে বেড়াচ্ছেন।’প্রধানমন্ত্রী নিহতদের বিদেহী আত্মার মুক্তির জন্য দোয়া করেন এবং তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
আইভির মতো ভালো মানুষের বীভৎস মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না : প্রধানমন্ত্রী
0
Share.