ঢাকা অফিস: চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ্দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ সব সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলন শেষ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কাজ করবেন আগামী নির্বাচনে জয়ের জন্য। শনিবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ সব সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলনে করার কথা আলোচনা হয়েছে। যেসব জেলা, উপজেলায় মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির রয়েছে সেখানে সন্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করে সম্মেলনে অনুষ্ঠিত করতে হবে। সব শাখা বিশেষ করে জেলা,উপজেলার সম্মেলন শেষ করতে হবে। ইতোমধ্যে ৪০টি উপজেলা, সম্মেলনের তারিখ ঠিক করা হয়েছে এবং ৭টি জেলার সম্মেলন চলতি মাসের ১২ তারিখ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের যেসব বিভাগীয় দায়িত্ব প্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক আছেন নেত্রী তাদের কর্মকাণ্ডে খুশি। আগামী নির্বাচন ও দলের জাতীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে দলকে আরও সুসংগঠিত করে শক্তিশালীভাবে দলকে দাঁড় করাতে হবে। সেই লক্ষ নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কাজ করবেন আগামী নির্বাচনে জয়ের জন্য। বিরোধীদল যেন মিটিং মিছিল করার নামে দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সৃষ্টি করে জনগণের ভোগান্তি করতে না পারে সেই বিষয় নেতাকর্মীদের সর্তক থাকতে হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মূলত পরবর্তী জাতীয় সম্মেলন ও জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে সারা বাংলাদেশে। আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ প্রোগ্রাম জোরদার করতে হবে। দলের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। আজ সভায় নারায়ণগঞ্জ এবং নীলফামারীর বিষয় এসেছে। সেখানকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে শোকজ নোটিশ পাঠাতে হবে। কাউকে কাউকে অব্যাহতি দিয়ে শোকজ করতে বলা হয়েছে। এটা নীলফামারী-ডোমারের।’ ‘নীলফামারী ডোমার উপজেলার সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং তাকে শোকজ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ বিভক্তি নিয়ে কখনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত দল। শৃঙ্খলার যেখানে যেখানে ঘাটতি আছে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে বিভাগীয় নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেটা তারা করতে অসমর্থ হবেন সেটা নেত্রী পর্যায়ে আসবে।’ সহযোগী সংগঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত যারা আছেন তারা প্রত্যেক বিভাগের সহযোগী সংগঠনগুলো যাদের দায়িত্ব রয়েছে সেগুলোর খোঁজখবর রাখবেন। সমন্বয় করবেন এ বিষয়টা বলা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সহযোগী সংগঠন হোক আর আমাদের মূল পার্টি হোক, মেয়াদোত্তীর্ণ সব সংগঠনের সম্মেলন জাতীয় সম্মেলনের আগে হতে হবে।