ঢাকা অফিস: আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকেই সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (১ জুন) বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিতে প্রবাসীরাও যুক্ত হতে পারবেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে আমি সর্বজনীনন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। কাজটি এরই মধ্যে অনেকটাই এগিয়ে এনেছি। মহান জাতীয় সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ পাস হয়েছে। আশা করছি, ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকেই বাংলাদেশে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা সম্ভব হবে। প্রস্তাবিত স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন সুবিধাভোগী ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বছরের অধিক বয়স্ক একজন সুবিধাভোগী ন্যূনতম ১০ বছর পর্যন্ত চাঁদা দেওয়ার সাপেক্ষে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এতে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকরাও অংশ নিতে পারবেন। পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে মৃত্যুবরণ করলে পেনশনারের নমিনি পেনশনারের ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত পেনশন প্রাপ্য হবেন। চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছরের চাঁদা দেওয়ার আগে মৃত্যুবরণ করলে জমা করা অর্থ মুনাফাসহ নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। চাঁদাদাতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমা করা অর্থের সর্ব্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ হিসেবে উত্তোলন করা যাবে। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে এবং এর বিপরীতে কর রেয়াত সুবিধা পাওয়া যাবে। এছাড়া মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়কর মুক্ত থাকবে। শিগগির একটি পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে এবং প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের মাধ্যমে এ কর্তৃপক্ষকে কার্যকর করা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এক মাস পর অর্থাৎ অর্থবছরের শুরুর দিন ১ জুলাই থেকেই সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা চালু করার কোনো প্রস্তুতি এখন পর্যন্ত সরকারের নেই। কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও সদস্যসহ ১৬ সদস্যের যে পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হওয়ার কথা, তা হয়নি এখনো। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে জাতীয়ভাবে সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা চালু করার ব্যাপারে নির্বাচনী ইশতেহারে যে অঙ্গীকার করেছিলেন, সেটারই বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে আগামী অর্থবছরে।
আগামী অর্থবছরেই সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি
0
Share.