ঢাকা অফিস: তিনি জানান, রোববারের মধ্যেই সারা দেশের টিকাকেন্দ্রগুলোতে সিনোফার্মের টিকা পৌঁছে দেওয়া হবে। পরে সোমবার থেকে চীনের তৈরি সিনোফার্মের গণটিকাদান শুরু হবে।ডা. শামসুল হক আরও বলেন, একই সঙ্গে আগামী মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) থেকে সিটি করপোরেশনের এলাকার হাসপাতালগুলোতে কোভ্যাক্সের মডার্নার টিকাদান শুরু হবে।অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ বিষয়ে তিনি বলেন, এ টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে যারা দ্বিতীয় ডোজ পাননি, তাদের আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। জুলাই বা আগস্ট মাসে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসতে পারে।এর আগে গত ২৯ জুন সকালে জাতীয় সংসদে বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় ভ্যাকসিনের বন্দোবস্ত হয়ে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আগামী মাসেই বিভিন্ন উৎস থেকে বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিন দেশে আসবে এবং গণটিকা কার্যক্রম শুরু করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা হয়ে গেছে। এখন আর কোনো সমস্যা হবে না। চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ভ্যাকসিন আসবে। জুলাই থেকেই আবারও শুরু হবে গণটিকা দান।শেখ হাসিনা বলেন, ভ্যাকসিন সংগ্রহে যত টাকাই লাগুক না কেন আমরা সেই টাকা দেব। ১৪ হাজার কোটি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভ্যাকসিন বাজারে আসার আগে থেকেই আমরা যোগাযোগ রেখেছি।৮০ শতাংশ মানুষকেই ভ্যাকসিনেশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ভ্যাকসিনেশনের মাধ্যমেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেওয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেওয়া হয়েছিল।এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেওয়ার ৬০ দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। দেশে টিকাগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।