ঢাকা অফিস: আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সময় সকালে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলটির নেতারা শ্রদ্ধা জানান। এ সময় সৈয়দ আশরাফের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। ওয়ন-ইলেভেন পরবর্তী সময়ে সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৯ সালে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালের সম্মেলনে তিনি টানা দ্বিতীয়বার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ২০১৬ সালের সম্মেলনে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ওয়ান-ইলেভেন ও হেফাজতের আন্দোলনের মতো সংকটকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন সৈয়দ আশরাফ। কারাগারে পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর সৈয়দ আশরাফ যুক্তরাজ্য চলে যান। প্রবাস জীবনে যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগ থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় সৈয়দ আশরাফ নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিজয়ী হন সৈয়দ আশরাফ। তবে শপথ নেওয়ার আগেই মারা যান তিনি। আশরাফ এক কন্যার জনক। তার স্ত্রী শিলা ইসলাম ২০১৭ সালের অক্টোবরে মারা যান। সৈয়দ আশরাফ ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
আজ সৈয়দ আশরাফের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী, আ.লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন
0
Share.