ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাভাইরাসের সব তথ্য-উপাত্ত হঠাৎ করেই নিজেদের ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলেছিল ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সংকট লুকানোর পাঁয়তারা করছে সরকার এমন সমালোচনা এবং দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর ফের কভিড-১৯ নিয়ে ফের তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করতে শুরু করেছে তারা। গত শুক্রবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা হঠাৎ করেই বন্ধ করে দেয় ব্রাজিলের অতি ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, এ ব্যাপারে তারা নতুন পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে, যেখানে প্রতিদিনকার বুলেটিনে ২৪ ঘণ্টায় কেবল মৃততের সংখ্যা তুলে ধরা হবে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে তেতে ওঠেন ব্রাজিলের অনেক বিজ্ঞ সমালোচকেরা। সরকারকে অবশ্যই আগের ফরম্যাটে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনকার তথ্য-উপাত্ত প্রকাশের ব্যাপারে সোমবার (৮ জুন) রুলিং জারি করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আলেক্সান্দ্রে দে মোরায়েস। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক মঙ্গলবার (৯ জুন) থেকে তাই করল ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এদিন দেশটিতে করোনাভাইরাসে আরও ১ হাজার ২৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়। তাতে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ৪০৬ জনে, যা বৈশ্বিক তালিকায় তৃতীয় সর্বোচ্চ।
দুই হাজারের কিছু বেশি মৃত্যু নিয়ে এই তালিকায় তাদের ওপরে দ্বিতীয় স্থানে যুক্তরাজ্য। আর শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ছুঁই ছুঁই। চব্বিশ ঘণ্টায় ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। বর্তমানে সংখ্যাটি পৌঁছেছে ৭ লাখ ৩৯ হাজারে। আক্রান্তে বৈশ্বিক তালিকায় ব্রাজিলের অবস্থান দ্বিতীয়। মৃত্যুর মতো এই তালিকায়ও শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র, ১৯ লাখ ৭৯ হাজার ছুঁই ছুঁই।ব্রাজিলের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। প্রায় ২১ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি হবে বলে তাদের দাবি। কেন আগের ফরম্যাটেই করোনাভাইরাসের তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা হচ্ছে এ ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়েও ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য জানতে পারেনি বার্তা সংস্থা এএফপি।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসকে শুরু থেকেই আমলে নিচ্ছেন না ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো। তার মতে এটা ‘সামান্য ফ্লু’ জাতীয় অসুখ। এমনকি দেশ জুড়ে লকডাউনের বিরুদ্ধেও তার অবস্থান।
আদালতের নির্দেশে করোনার তথ্য প্রকাশ ফের শুরু করল ব্রাজিল
0
Share.