ডেস্ক রিপোর্ট: সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে গৃহবন্দি রয়েছেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেতা অং সান সুচি। তার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে বেশ কয়েকটি মামলা। এসব মামলায় প্রায় প্রতি সপ্তাহে আদালতে হাজির হতে হয়। সুচি আদালতে জানিয়েছেন, হাজিরা দিতে দিতে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। হাজিরা যেন একটু কমানো হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছে সেনা সরকার। যার মধ্যে ভোটে কারচুপি, কোভিডের নিয়ম না মানা, অবৈধ ওয়াকি টকি কেনা এবং আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলাগুলোর শুনানি চলছে মিয়ানমারের আদালতে। সোমবার তেমনই এক শুনানিতে সুচি আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছেন যে, তার হাজিরার সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হোক। সুচির আইনজীবী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহে একবার শুনানির দিন ধার্য করার আবেদন জানিয়েছেন ৭৬ বছরের এই রাজনীতিবিদ। এর আগেও দীর্ঘদিন বন্দি থেকেছেন সুচি। তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল সাবেক মিয়ানমারের সেনা সরকার। তবে রাজনৈতিক লড়াই লড়ে মিয়ানমারে তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠনের লড়াই লড়েছিলেন এবং শেষপর্যন্ত মিয়ানমারের সর্বোচ্চ নেতায় পরিণত হয়েছিলেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সুচির বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ ঘোষণা করে সেনা। একদিনের মধ্যে সুচিকে গ্রেপ্তার করে শাসনক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয় তারা। সুচির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। মিয়ানমারে সেনাশাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ফেব্রুয়ারি থেকেও। অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের কঠোর হাতে দমন করছে সেনা। সুচি ছাড়াও অন্য মন্ত্রীদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুচির আইনজীবী জানিয়েছেন, সুচির বড় কোনো অসুখ হয়নি। তবে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। সে কারণেই আদালতে ওই আর্জি জানানো হয়েছে। এদিকে অদূর ভবিষ্যতে ১০ দেশের দক্ষিণ এশিয়া ফোরামের বৈঠকে বসার কথা। মালয়েশিয়া জানিয়েছে, মিয়ানমারের সেনা সরকারের প্রতিনিধিকে ওই বৈঠকে জায়গা দেওয়া হবে না। সেনা যেভাবে দেশের মানুষের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে এবং যেভাবে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করা হয়েছে, তা তারা মেনে নেবে না।
আদালতে হাজিরা কমানোর আবেদন অং সান সুচির
0
Share.