ঢাকা অফিস: রাজধানীর আগারগাঁওয়ে শ্যামলী এলাকায় অবস্থিত ঢাকা শিশু হাসপাতালে দেশের প্রথম ডিজিটাল হাসপাতাল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে শিগগিরই। বিশ্বমানের সার্জারী বিভাগ, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আসন বৃদ্ধি, হাসপাতালের পরিবেশ— সব মিলিয়ে বদলে যাচ্ছে হাসপাতালটি। হাসপাতাল সূত্র জানায়, শুধু শিশুদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হাসপাতালটিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও ঢাকা শিশু হাসপাতালের যৌথ অর্থায়নে সার্জারী বিভাগের কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম শিশু সার্জিক্যাল আইসিইউ ছাড়াও এখানে থাকছে ৩২ বেডের আধুনিক ওয়ার্ড। যা খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। আর আধুনিক এ সার্জারী বিভাগটি চালু হলে সর্বস্তরের শিশুদের দেশেই উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদান করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা যায়, ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার পর ঢাকা শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে হাসপাতালটির অবস্থান ছিল ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে। পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালে শের-ই-বাংলা নগরে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থানান্তরিত হয়। প্রথমে বাংলাদেশের জনসংখ্যা এবং বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে বিচ্ছিন্ন ও সীমিতভাবে দরিদ্র রোগাক্রান্ত শিশুদের জন্য চিকিৎসা সেবা দেওয়া হতো। পরবর্তী সময়ে শিশুদের সার্বিক চিকিৎসার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়।এরপর বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের খবর গণমাধ্যমে উঠে আসলেও বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে গত দুই বছরে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ব্যাপক উন্নয়ন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। বর্তমানে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ হাসপাতালটিতে বেড়েছে রোগীর হার ও চিকিৎসা সেবার মান। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে ভারত ও সিঙ্গাপুরের তুলনায় অনেক কম খরচে উন্নত মানের চিকিৎসা দিচ্ছে শিশুদের জন্য দেশের বৃহৎ এই হাসপাতালটি।সূত্র জানায়, সম্প্রতি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও শিশু হাসপাতালের যৌথ অর্থায়নে হাসপাতালটিতে তৈরি হয় একটি বর্ধিত অংশ। যেখানে রয়েছে একটি অপারেশন থিয়েটার, আট শয্যার পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড, চার শয্যার সার্জিকাল আইসিইউ ও চার শয্যার এইচডিইউ ইউনিট। এছাড়া অত্যাধুনিক মডুলার ওটি, অত্যাধুনিক সার্জিক্যাল মেশিনসহ রয়েছে ৩২ বেডের আধুনিক ওয়ার্ড।
আধুনিকায়ন হচ্ছে ঢাকা শিশু হাসপাতাল, উদ্বোধনের অপেক্ষায় ‘সার্জারী বিভাগ’
0
Share.