আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে উঠল তালেবানের পতাকা

0
ডেস্ক রিপোর্ট: বুধবার (১৪ জুলাই) পাকিস্তানি কর্মকর্তারা বলেন, পাকিস্তানি শহর চামাম ও আফগান শহর ওয়েশের মধ্যকার সীমান্ত ক্রোসিংয়ের ফ্রেন্ডশিপ ফটক থেকে আফগান সরকারের পতাকা নামিয়ে দিয়েছে তালেবান।বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আফগানিস্তানের কান্দাহারের দক্ষিণে এই ক্রোসিংয়ের অবস্থান। যা স্থলবেষ্টিত দেশটির দ্বিতীয় ব্যস্ততম সীমান্ত প্রবেশ পথ। এছাড়া আফগানিস্তানের বিপুল দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে পাকিস্তানের বন্দরের মূল সংযোগ হচ্ছে এই ক্রোসিং।আফগান সরকারের তথ্য বলছে, প্রতিদিন এই সীমান্ত ক্রোসিং দিয়ে ৯০০টি ট্রাক চলাচল করে। তালেবানের নিয়ন্ত্রণ ঘোষণার পর সীমান্তের ওই অংশ বন্ধ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান।এর আগে ওয়েশ অঞ্চলে আফগান সরকারি বাহিনী ও তালেবানের মধ্যে ব্যাপক লড়াই হয়েছে। আফগান সরকারের কর্মকর্তারা বলেন, তালেবান যোদ্ধাদের তাড়িয়ে দিয়েছে সরকারি বাহিনী। কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোলদাক সীমান্ত জেলা এখনও সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।কিন্তু বেসামরিক নাগরিক ও পাকিস্তানি কর্মকর্তারা বলেন, তালেবান ওয়েস সীমান্ত চৌকিগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন করা পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্যে ওয়েস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অঞ্চলটি এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে।চামামের কর্মকর্তারা বলেন, এই ফটক দিয়ে সব ভ্রমণ বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান। আর এই সীমান্ত ক্রোসিং নিয়ন্ত্রণের কথা স্বীকার করেছেন তালেবানের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদিন।২০০১ সালে মার্কিন অভিযানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর কাবুল সরকার ও বিদেশি বাহিনীকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে লড়াই করে আসছে তালেবান বিদ্রোহীরা।সম্প্রতি মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের ঘোষণা আসার পর হেরাত, ফারাহ ও কুন্দুজ প্রদেশের বেশ কয়েকটি সীমান্ত ক্রোসিংয়ে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় তারা।রাজধানী কাবুলের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের প্রধান শফিকুল্লাহ আত্তাই বলেন, সীমান্ত ক্রোসিং নিয়ন্ত্রণের কারণে তারা বিপুল রাজস্ব হাতিয়ে নিতে পারে। এখান থেকে আসা আয় তাদের হাতে চলে যাচ্ছে।কিন্তু কী পরিমাণ আয় তালেবানের হাতে যাচ্ছে, তা উল্লেখ করেননি তিনি। মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বালখে সফরে যান আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি।তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে বৈঠকের পর বলেন, তালেবানের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হবে। তালেবানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া অঞ্চলগুলো ফের দখলে নেওয়া হবে।
Share.