আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিহিত চান মেয়র আতিকুল

0

ঢাকা অফিস: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আবাসিক এলাকাগুলোতে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও আবাসিক এলাকার ভবনের নিচতলায় দোকান এবং নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম।মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদ কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত রাজস্ব আদায়ের চিরুনি অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, ‘আবাসিক এলাকায় দোকান হচ্ছে। আমরা ট্রেড লাইসেন্স দিতে পারছি না। সিটি করপোরেশন ট্যাক্স পাচ্ছে না। এটার একটা বিহিত করা দরকার। আমি এ বিষয়ে রাজউকের সঙ্গে বসবো।’উত্তর সিটি মেয়র জানান, আজ থেকে শুরু হওয়া চিরুনি অভিযানে ৪০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা শুধু ট্রেড লাইসেন্স থেকে।মেয়র আতিকুল বলেন, ‘আজ থেকে অঞ্চল ২ ও ৫ এর ১৭টি ওয়ার্ডের অভিযান শুরু করলাম। আমরা ডোর টু ডোর লক করব। অভিযানের মাধ্যমে আমরা ট্যাক্সের পরিধি বাড়াবো।’২০২১ সালে অনলাইনের মাধ্যমে নাগরিকরা ট্যাক্স দিতে পারবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘পয়লা জানুয়ারি থেকে অনলাইনে ট্যাক্স নেয়া হবে। এখন ট্রায়েল চলছে। অনলাইনে অন্যান্য বিল দেয়া যেতে পারলে সিটি করপোরেশন ট্যাক্স কেন অনলাইনে দিতে পারবে না? আমি এ বিষয়ে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিচ্ছি।’সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ডের জন্য ট্যাক্স দিতে হবে বলে জানান মেয়র আতিকুল। বলেন, ‘সাইনবোর্ডের মাপ অনুযায়ী ট্যাক্স নির্ধারণ করা হবে। যারা বাসার উপরে সাইনবোর্ড লাগাচ্ছেন তারা আইন জানুন। আনঅথরাইজ বিলবোর্ড নামিয়ে দেব। এই শহর থেকে যারা বাণিজ্য করবেন তাদের ট্যাক্স দিতে হবে।’এ সময় অন্যদের মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনের সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

Share.