আমিরাতের কাছে ২০৯ কোটি ডলারের ড্রোন বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র

0

ডেস্ক রিপোর্ট: সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ১৮টি অত্যাধুনিক সশস্ত্র এমকিউ-নাইন ‘বি ড্রোন বিক্রির পরিকল্পনা মার্কিন কংগ্রেসকে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যার বাজার মূল্য ২০৯ কোটি মার্কিন ডলার।  মধ্যপ্রাচ্যে ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠমিত্র এবং তেল সমৃদ্ধ উপসাগরীয় রাষ্ট্রটির কাছে এফ-থার্টিফাইভ যুদ্ধবিমান বিক্রির সম্ভাব্য আলোচনার মধ্যেই ড্রোন বিক্রির বিষয় সামনে এলো। স্নায়ু যুদ্ধকালীন যুক্তরাষ্ট্রসহ ৩৪টি দেশের মধ্যে একটি অস্ত্র চুক্তি সই হয়। সম্প্রতি সেই চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন করে ট্রাম্প প্রশাসন। মিত্রদের কাছে ড্রোন বিক্রির সুযোগ পায় ওয়াশিংটন। চুক্তি সংশোধনের পর প্রথম সংযুক্ত আর আমিরাতের কাছে ড্রোন বিক্রি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন ড্রোন কেনার জন্য অনেকদিন ধরে আগ্রহ দেখিয়ে আসছে আমিরাত। গ্রীষ্মেই মার্কিন রফতানিনীতি পরিবর্তন হয়। পরিবর্তিতনীতিতে আবুধাবি হতে যাচ্ছে ওয়াশিংটনের ড্রোন প্রথম ক্রেতা।  মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবারের মতো তাইওয়ানের কাছে ৬০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের চারটি নিরস্ত্র ড্রোনসহ সশস্ত্র এমকিউ-নাইন-বি সিগার্ডিয়ান বিক্রির ঘোষণা দেয় কংগ্রেস।  ইয়েমেন যুদ্ধে আমিরাতের ভূমিকার জন্য দেশটির সমালোচনা করেছে মার্কিন সিনেটের ফরেন রিলেশন এবং কংগ্রেসের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবের আগে আলোচনা করে কর্তৃপক্ষের অস্ত্র বিক্রির ক্ষমতা স্থগিত করতে পারে কমিটি। কংগ্রেসকে আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি জানানোর জন্য অপেক্ষা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পর বিক্রির বিষয়ে আপত্তি জানানোর জন্য ৩০ দিন সময় পাবে কংগ্রেস। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, কংগ্রেস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদ না পাওয়া পর্যন্ত প্রস্তাবিত বা নিশ্চিত হওয়া অস্ত্র চুক্তির বিষয়ে মার্কিননীতি অনুযায়ী মন্তব্য করার কোনো সুযোগ নেই। অস্ত্র বিক্রির সঙ্গে জড়িত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, সামুদ্রিক রাডার সংযুক্ত এমকিউ-নাইন-বি ড্রোন ২০২৪ সালের মধ্যে আমিরাতের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে। মার্কিন বোয়িং কো সিএ-এইটটিন’জি গ্লোলার্স, দুই সিটের ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফার ভার্সন এফ/এ-এইটিন’এফ সুপার হরনেট এয়াক্রাফটের একটি প্যাকেজও চায় আমিরাত।দীর্ঘদির ধরে স্টিলথ এফ-থার্টিফাইভ যুদ্ধবিমান ক্রয় করতে চাচ্ছে আবুধাবি। সম্প্রতি ইসরাইল-আমিরাত সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ওয়াশিংটন আবুধাবিকে সে প্রতিশ্রুতিও দেয়। ২৯ অক্টোরবর ৫০টি লকহেড মার্টিন কো এফ-থার্টিফাইভ বিমান ক্রয়ের বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।ওই অঞ্চলে অক্রবিক্রি করতে চাইলে ইসরাইলের সঙ্গে থাকা দশক পুরনো চুক্তি মাথায় রাখতে হয় যুক্তরাষ্ট্রকে। ওই চুক্তিতে ইসরাইলের সমরাস্ত্রের শীর্ষত্বকে অবনমিত করতে পারে এমন কোনো অস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশের কাছে বিক্রি না করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ওয়াশিংটন।

Share.