আরএসসের উগ্রবাদী-চরমপন্থী মতাদর্শে চলছে ভারত: ইমরান খান

0

ডেস্ক রিপোর্ট: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, আরএসসের উগ্রবাদী-চরমপন্থী মতাদর্শে চলছে ভারত। আরএসএস বা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। যার অনুসারী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংগঠনটি মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর জন্য অভিযুক্ত। সোমবার আল জাজিরাকে দেয়া এ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, জার্মানিতে নাৎসি সরকার ইহুদিদের বিরুদ্ধে যে নৃশংসতা চালিয়েছিল বর্তমানে ভারতের মুসলমানরা দেশটির শাসক দ্বারা সেরকম ভয়াবহতার শিকার হচ্ছেন।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধূলায় মিশিয়ে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ইমরান খান। কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের আগস্টে ভারত সরকার সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরকে উন্মুক্ত কারাগার বানিয়েছে। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়। তখন প্রতিবেশী দু’দেশের যেকোনো একটির সঙ্গে একীভূত হওয়ার সুযোগ ছিল কাশ্মীরের। শুধু ৩৭০ ধারার কারণে তৎকালীন কাশ্মীরের রাজা ভারতের সঙ্গে কাশ্মীরকে সংযোজন করেন।১৯৪৯ সালে ৩৭০ ধারা কার্যকর হয়। যা কাশ্মীরীদের বিশেষ মর্যাদা দেয়। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলটির আইন প্রণয়নের ক্ষমতা দেয়া হয় কাশ্মীরের পার্লামেন্টকে। শুধু অর্থ, প্রতিরক্ষা, বিদেশনীতি এবং যোগাযোগখাতের নিয়ন্ত্রণ থাকে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। বাকি সবই ছিল কাশ্মীরের পার্লামেন্ট এবং কাশ্মীরীদের হাতে। কিন্তু ধীরে ধীরে সে সব প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করতে থাকে নয়াদিল্লি। সবশেষ তা প্রত্যাহারই করে নেয় ভারতের বর্তমান হিন্দুত্ববাদী সরকার। ইমরান খান বলেন, ‘মাত্র এক বছরের মধ্যে কাশ্মীরকে সম্পূর্ণ ওলটপালট করে দেয়া হয়েছে। ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে অঞ্চলটির অর্থনীতি। ৮০ হাজার ভারতীয় সেনা মোতায়েন করে কাশ্মীরকে উন্মুক্ত কারাগার বানিয়েছে ভারত সরকার।’গেলো বছরের ৫ আগস্ট কাশ্মীরের স্বায়াত্ত্বশাসন এবং অঞ্চলটির বাসিন্দাকে দেয়া বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে মোদি সরকার। জম্মু এবং কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত আলাদা দুটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়। প্রতিবাদ-রোধে আটক করা হয় সেখানকার শত শত রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে। আরোপ করা হয় সর্বাত্মক অবরোধ। বুধবার বর্ষপূর্তিতে কাশ্মীরীরা পালন করবেন ব্ল্যাক ডে বা অন্ধকার দিন। আন্দোলন ঠেকাতে ইতোমধ্যে কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

Share.