ডেস্ক রিপোর্ট: উহানের পর এবার চীনের আরও তিন শহরের বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খবর জানিয়েছে বিবিসি। নতুন করে নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া ওই তিন শহরের জনসংখ্যা প্রায় এক কোটি আশি লাখ। বিবিসি-র খবরে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এখন চীন যা করছে, তাকে অনেকটা যুদ্ধ প্রস্তুতির সঙ্গে তুলনা করা যায়। সাংহাই নগরী থেকে প্রায় ১০০ মাইল দূরের শহর হাংজুতে চীনের বিশাল প্রযুক্তি কোম্পানি আলিবাবার সামনের রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। মাথার ওপর চক্কর দিচ্ছে যুদ্ধ বিমান। আলিবাবার এই ভবনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। হাংজুর ওই এলাকায় একটি বাড়ি থেকে প্রতি দুই দিনে মাত্র একজন ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। একের পর এক নগরীতে লাখ লাখ মানুষকে তাদের ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে, যাতে এই ভাইরাস আরও না ছড়ায়। যে উহান নগরী থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল, সেখানে বড় বড় খেলার মাঠ এবং অনুষ্ঠানের জায়গায় অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য আরও দশ হাজার শয্যার ব্যবস্থা করতে এসব হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চীনের বাইরে এখন পর্যন্ত ২৭টি দেশে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে থাইল্যান্ডে, মোট ২৫ জন। এর পরেই আছে জাপান ও সিঙ্গাপুর – মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা যথাক্রমে ২০ ও ১৮ জন। চীনের মূল ভূখন্ড থেকে আসা লোকজনকে ১৪ দিন বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ দিয়েছে হংকং। তবে চিকিৎসাকর্মীদের দাবি সত্ত্বেও চীনের সঙ্গে সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার আহ্বান এখনো বিবেচনা করছে না অঞ্চলটির কর্তৃপক্ষ। জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে একটি প্রমোদতরীতে ১০ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। জাহাজটিতে তিন হাজার ৭০০ আরোহী ছিল। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের প্রায় ৩০০ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়েছে। সংক্রমিত ব্যক্তিদের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকিদের জাহাজেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ভিয়েতনামে ১০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। হংকং ঘোষণা করেছে, চীনের মূল ভুখণ্ড থেকে আসা যে কাউকে বাধ্যতামূলকভাবে দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে, অর্থাৎ জনবিচ্ছিন্ন অবস্থায় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
আরও তিন শহরের বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ চীনের
0
Share.