আর্জেন্টিনার সাবেক ফুটবলার লাভেজ্জির পেটে ছুরি চালাল তার পরিবারের এক সদস্য

0

স্পোর্টস ডেস্ক: আর্জেন্টিনার সাবেক ফুটবলার এজেকিয়েল লাভেজ্জিকে ছুরিকাহত হয়েছে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তারই পরিবারের এক সদস্য তাকে ছুরিকাঘাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, পেটে ও কলারবোনে (কণ্ঠাস্থি) ক্ষত হওয়ায় জরুরি সেবা সংস্থাকে ফোন দেওয়া হয়। পরে জরুরি সেবায় নিয়োজিতরা এসে তাকে মালদোনাদোর কান্তেগ্রিল সানাতোরিয়াম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার অগুস্তিনির অধীন চিকিৎসাধীন আছেন ৩৮ বছর বয়সী লাভেজ্জি। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস ও ক্লারিন জানিয়েছে, উরুগুয়ের মালদোনাদোয় এ ঘটনা ঘটেছে। পেটে ছুরিকাহত হলে আহত লাভেজ্জিকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, গতকাল স্থানীয় সময় ভোরে পরিবারের সঙ্গে পার্টিতে ছিলেন লাভেজ্জি। এ সময় তার সঙ্গে প্রেমিকাও ছিলেন। পার্টিতেই পরিবারের কেউ তাকে ছুরিকাঘাত করেন। ফলে পেটে ও কলারবোনে (কণ্ঠাস্থি) ক্ষত সৃষ্টি হলে জরুরি সেবা সংস্থাকে ফোন দেওয়া হয়। জরুরি সেবায় নিয়োজিতরা এসে তাকে মালদোনাদোর কান্তেগ্রিল সানাতোরিয়াম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার অগুস্তিনির অধীন চিকিৎসাধীন আছেন ৩৮ বছর বয়সী লাভেজ্জি। গণমাধ্যম ছুরিকাঘাতের দাবি করলেও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, লাভেজ্জিকে কেউ ছুরি চালায়নি। বাতি পরিবর্তন করতে গিয়ে মই থেকে পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। এদিকে, ক্লারিন জানিয়েছে, স্থানীয় পুলিশ লাভেজ্জির ছুরিকাহত হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করতে পারেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি। তবে উরুগুয়ের পত্রিকা এল অবজারভাদর পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, পার্টিতে পরিবারেরই কেউ লাভেজ্জিকে ছুরিকাঘাত করেছেন। এ ঘটনার পর গতকাল স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় জরুরি সেবা সংস্থাকে ফোন করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় বলার পর থেকেই পরিবার নিয়ে উরুগুয়েতে থাকেন লাভেজ্জি। আর্জেন্টিনার হয়ে ৫১ ম্যাচে ৯ গোল করা ফরোয়ার্ড ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালেও খেলেছেন। ২০০৮ অলিম্পিকে আর্জেন্টিনার হয়ে লিওনেল মেসি ও আনহেল ডি মারিয়াদের সঙ্গে স্বর্ণপদক জিতেছেন লাভেজ্জি। ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালের পরের দুই বছর দুটি কোপা আমেরিকা ফাইনালেও দলের অংশ ছিলেন। কিন্তু এই তিন টুর্নামেন্টের একটিতেও আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। ২০১৬ কোপা আমেরিকায়ই শেষবার আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেছেন। ২০১৭ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের স্কোয়াডে থাকলেও তাঁকে মাঠে নামানো হয়নি। এরপর জাতীয় দলে আর কখনো ডাকও পড়েনি।

Share.