ডেস্ক রিপোর্ট: লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি বলেছেন, তিনি আর দেশটির প্রধানমন্ত্রী চান না। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর হোয়াটসঅ্যাপ এবং একই ধরনের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসগুলোতে কর আরোপ প্রস্তাবের প্রতিবাদে লেবাননে বিক্ষোভ শুরু করে আন্দোলনকারীরা। এই প্রতিবাদের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনৈতিক সংকট, বৈষম্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ। হোয়াটসঅ্যাপে কর বাতিলের আন্দোলন পরিণত হয় তীব্র সরকারবিরোধী আন্দোলনে। জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া ও জীবনমানের অবনতির জন্য সরকারের পদত্যাগের দাবিতে তীব্র বিক্ষোভের মুখে ২৯ অক্টোবর পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি। তবে প্রেসিডেন্টের অনুরোধে নতুন সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। মঙ্গলবার দেওয়া বিবৃতিতে সাদ হারিরি বলেন, তিনি আর পরবর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনে আগ্রহী নন। নতুন কেউ সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করুক; এটাই তার প্রত্যাশা। সাদ হারিরি বলেন, ‘আমি মনে করি তরুণ সমাজের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য আমার বদলে অন্য কেউ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।’ এক সময়ে সৌদিপন্থী হিসেবে পরিচিত সাদ হারিরি-র জোট সরকারের অংশ ছিল ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। বিক্ষোভের জেরে হারিরি সরে দাঁড়ালেও তার পদত্যাগের বিরোধিতা করেছে দলটি। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়িয়েছে হিজবুল্লাহ সদস্যরা। বিক্ষোভকারীদের ‘বিপ্লব বিপ্লব’ স্লোগানের বিপরীতে ‘শিয়া শিয়া’ স্লোগান দিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। এদিকে সাদ হারিরির পদত্যাগের পর নতুন সরকার গঠনে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেছে হিজবুল্লাহ। ইরান সমর্থিত দলটির উপপ্রধান শেখ নাঈম কাসেম রয়টার্স-এর কাছে দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনুগত একটি সরকার প্রতিষ্ঠায় লেবাননে জনগণের সরকার গঠনে বাধা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
আর প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না: হারিরি
0
Share.