আল আকসায় ইহুদিদের নীরব প্রার্থনার অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েলি আদালত

0

ডেস্ক রিপোর্ট: অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সে ইহুদিদের নীরব প্রার্থনার অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েলের একটি আদালত। অভূতপূর্ব ওই রায়ে বলা হয়েছে যে, আল আকসায় ইহুদিদের প্রার্থনা করা অপরাধমূলক কাজ নয়। জেরুজালেম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বিলহা ইয়াহালোম বুধবার এই রায় দেন। খবর আনাদুলু এজেন্সির এর আগে আল আকসা মসজিদের ফ্ল্যাশপয়েন্ট সাইট পরিদর্শনের ইবাদতের চেষ্টা করেন ইহুদি রাব্বি আরেহ লিপ্পো। সেসময় পুলিশ সেখানে ইহুদিদের ইবাদতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানান। পরে আরেহ লিপ্পো এ নিয়ে আদালতে আপিল করেন। সেই আপিলের রায়েই এমনটি জানিয়েছেন বিচারক। আল-আকসা কমপ্লেক্সের হিব্রু নাম ব্যবহার করে বিচারক বলেন, টেম্পল মাউন্টে তার দৈনিক আগমন ইঙ্গিত দেয় যে এটি তার জন্য নীতি। সম্প্রতি ইহুদিরা আল আকসা পরিদর্শনের সময় সেখানে নীরব প্রার্থনা শুরু করেন। এই ঘটনা আলোচনায় আসার পর প্রথমবারের মতো এমন সিদ্ধান্ত দিল ইসরায়েলের আদালত। এই রায়কে ডানপন্থী ইসরায়েলি আইনজীবী মোশে পোলস্কি স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই যা গত এক বছর ধরে টেম্পল মাউন্টে আসলে যা ঘটছে তা কার্যকরভাবে সমর্থন করে এবং টেম্পল মাউন্ট পরিদর্শন করে এবং প্রার্থনা করতে চায় এমন ইহুদিদের জন্য এটি একটি বাস্তব বিবৃতি।’ সাধারণত, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে আল-আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সে মসজিদের দক্ষিণ-পশ্চিমে আল-মুগরবি গেট দিয়ে প্রবেশ করে। এরপর সেখানে তারা প্রার্থনা করে। ইসলামিক এনডাউমেন্ট বিভাগের বারবার নিন্দা সত্ত্বেও ইসরায়েলি পুলিশ ২০০৩ সালে বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের সেখানে প্রবেশের অনুমতি দিতে শুরু করে। আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের জন্য বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ইহুদিরা এলাকাটিকে ‘টেম্পল মাউন্ট’ বলে দাবি করে, এটি প্রাচীনকালে দুটি ইহুদি মন্দিরের স্থান বলে দাবি করে। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে। এখানেই আল-আকসা মসজিদ অবস্থিত। ১৯৮০ সালের মধ্যে তারা পুরো শহর দখল করে নেয়। বিশ্ব সম্প্রদায় ইসরায়েলের এই দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয়নি।

Share.