শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭

আশুরা পালনে আজ প্রস্তুত ঢাকার হোসেনী দালান ইমামবাড়া

0

ঢাকা অফিস: মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ ও শোকের দিন পবিত্র আশুরা। কারবালায় হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র ইমাম হোসেনের মৃত্যুর দিনটি ১০ মহররম বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা পালন করেন। কারবালার বিয়োগাত্মক ঘটনা ও পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন শিয়া মতাদর্শীরা। এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে পুরান ঢাকার হোসাইনী দালান ইমামবাড়া থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ধানমন্ডি গিয়ে শেষ হবে তাজিয়া মিছিল। এ উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দীর্ঘ বছর ধরে রাজধানীর হোসাইনী দালান থেকে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করা হয় আশুরা। আয়োজনের মধ্যে অন্যতম তাজিয়া মিছিল। এ মিছিলে পুরো কারবালার শোকের আবহ তুলে ধরা হয়। তাজিয়া মিছিল আয়োজনের মূল দায়িত্ব পালন করে হোসেনি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। হোসাইনী দালান ছাড়াও রাজধানীর পুরান ঢাকার ফরাশগঞ্জের বিবিকা রওজা, পুরানা পল্টন, মগবাজার, মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প ও মিরপুর-১১ নম্বরে বিহারি ক্যাম্পগুলোয় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আশুরা পালন করে। তারাও বের করে তাজিয়া মিছিল। হোসাইনী দালান ইমাম বাড়া থেকে তাজিয়া মিছিল আয়োজন প্রসঙ্গে ইমামবাড়ার সুপারেন্ট ফিরোজ হুসাইন জানান, আশুরার দিন সকাল ১০টায় তাজিয়া মিছিল বের হবে। প্রতি বছরের মতো এবারও তাজিয়া মিছিলে অংশ নেবে হাজারও মানুষ। মিছিলটি নিউমার্কেট হয়ে ধানমন্ডি রাইফেল স্কয়ার গিয়ে শেষ হবে। তিনি বলেন, ১০ দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আশুরা পালিত হয়। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ইমাম বাড়ায় আসেন। তাজিয়া মিছিলের মূল লক্ষ্য কারবালার ইতিহাস উপস্থাপন ও শোক প্রকাশ। মিছিলে বুক চাপড়ে, জিঞ্জির দিয়ে শরীরে আঘাত করে মাতম করে অনেকেই। তবে বিগত তিন বছর ধরে নিরাপত্তার জন্য পুলিশের নির্দেশনা অনুসারে জিঞ্জির দিয়ে শরীরে আঘাত করা হয় না। সেই সঙ্গে বুক চাপড়ে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ বলে মাতম করেন সবাই। ২০১৫ সালে আশুরায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় হোসাইনী দালানের সামনে বোমা হামলার ঘটনায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। হোসেনি দালানের প্রবেশ মুখে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। ইমামবাড়ায় পবিত্র আশুরাকে ঘিরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি জানান, মিছিলের চারপাশ দিয়ে ঘিরে রাখবে পুলিশ, যেন মাঝখান থেকে কেউ ঢুকতে বা বের হতে না পারে। পুলিশের নিরাপত্তায় ধর্মীয় কোন বাধা সৃষ্টি হচ্ছে না। জননিরাপত্তার জন্য নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তাকে স্বাগতম জানিয়েছে শিয়া সম্প্রদায়।

Share.