ডেস্ক রিপোর্ট: করোনা মহামারির শুরুর দিকের কথা। ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে গত বছরের জুন মাসের ঘটনা। সে সময় নিজের দু’সন্তানকে নিয়ে বড় বিপদে পড়েন কেয়ার ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করা লরা বার্ডলে নামের ২৬ বছরের এক যুবতী। ওই সময় তাকে সহায়তায় এগিয়ে আসেন একটি পরিবার। তারা তাকে আশ্রয় দেন।কিন্তু আশ্রয় পাওয়ার পর আশ্রয়দাতারই মাত্র ১৫ বছর বয়সী স্কুলপড়ুয়া ছেলের সঙ্গে অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলেন লরা বার্ডলে। তাদের মধ্যে অবাধে চলতে থাকে যৌন সম্পর্ক। রগরগে ম্যাসেজ পাঠাতে থাকেন লরা বার্ডলে।একবার কিচেনে তাদেরকে চুম্বনরত অবস্থায় দেখে ফেলেন এক প্রতিবেশী। এ ছাড়া ওই বালকটির মা বেডরুম পরিষ্কার করতে গিয়ে আবিষ্কার করেন প্রেমপত্র। চার মাসের সম্পর্কে এসব প্রেমপত্র ওই ছাত্রকে লিখেছেন লরা বার্ডলে।এর আগেই বালকটির মায়ের সন্দেহ হয়েছিল। কারণ, তার ছেলের আচরণ, পোশাকে পরিবর্তন এসে গিয়েছিল। সে স্মার্টলি পোশাক পরে বেশির ভাগ সময় কাটাতো ওই যুবতীর বাসায়। সেখানে প্রথমে তার বাচ্চাদের সঙ্গে খেলাধুলা করতো। কিন্তু এর ফাঁকে তাদের মধ্যে যে যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তা তিনি বুঝতে পারেননি। তার ছেলে ওই যুবতীর বাসা থেকে অনেক রাত করে বাসায় ফিরতে থাকে। এরই মধ্যে ওই চিঠি চলে যায় বালকটির মায়ের হাতে। ঘটনা আস্তে আস্তে জানাজানি হয়।জানা গেছে, বালকটির যখন গ্রীষ্মকালীন ছুটি হয়, তখন তাকে একের পর এক প্রেমপত্র লিখতে থাকেন লরা বার্ডলে। এক পর্যায়ে বালকটির মা হলওয়েতে ঝুলানো তার ছেলের কোটে দেখতে পান প্রেমপত্র। এরপরই তিনি কোটের পকেট তল্লাশি করেন। তাতে পান কনডম। তিনি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না। মুখোমুখি হলেন লরা বার্ডলের। তিনি লরা বার্ডলেকে সতর্ক করে তার ছেলে থেকে দূরে সরে যেতে বলেন। এদিন সন্ধ্যায়ই তার ছেলে বাড়ি থেকে পালায়। তাকে পাওয়া যায় একটি হোটেলকক্ষে। সঙ্গে প্রেমিকা লরা বার্ডলে।দীর্ঘদিনের পার্টনারের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি হওয়ার পর যৌন লালসার শিকার হিসেবে ওই বালককে টার্গেট করেন লরা বার্ডলে। তিনি ঠাঁই পাওয়ার পর তার প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়ে ওই বালকটি।শেষমেশ ৩রা সেপ্টেম্বর সকল প্রেমপত্র নিয়ে শুনানি হয় আদালতে। এই প্রেমপত্রের ফটোকপি করে লরা বার্ডলের পার্টনারকে সতর্ক করা হয়। পুলিশ তদন্তে যেসব তথ্য পেয়েছে, তাতে সব টেক্সট মুছে দেয়ার কথা বলা হয়েছে ওই বালককে। একই সঙ্গে বালকটিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের নাম ও ছবি পরিবর্তন করতে উৎসাহিত করেছেন লরা বার্ডলে। এরপরও তাদের সম্পর্ক অব্যাহত থাকে। অবশেষে ১১ সেপ্টেম্বর আদালতের নির্দেশে লরা বার্ডলেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।ম্যানচেস্টারের মিনশাল স্ট্রিট ক্রাউন কোর্ট এ অভিযোগে ৬ বছরের জেল দিয়েছে লরা বার্ডলেকে। কিন্তু জেলে বসেও তিনি নিজেকে নিবৃত্ত রাখেননি। জেলের ভিতরেই একটি মোবাইল ফোন সংগ্রহ করে ফেলেন এবং ওই বালককে রগরগে ম্যাসেজ পাঠাতে থাকেন। তাতে তিনি বুঝাতে থাকেন ওই বালকটিকে তিনি কত বেশি ভালোবাসেন। যদিও পরবর্তীতে জানাজানি হয়ে যাওয়ায় আর সে উপায় নেই তার।
আশ্রয়হীন ২৬ বছরের যু’বতীর লাল’সার শিকার ১৫ বছরের বালক
0
Share.