ডেস্ক রিপোর্ট: ঘণ্টায় ৬০০ কিলোমিটার চলতে সক্ষম একটি ম্যাগলেভ ট্রেনের উদ্বোধন করেছে চীন। বৈশ্বিকভাবে এটিকে সবচেয়ে দ্রুতগতির স্থলযান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাতে মঙ্গলবার (২০ জুলাই) রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে। নিজস্ব প্রযুক্তির এই ট্রেনটি উপকূলীয় শহর কিয়াংডাওতে নির্মাণ করা হয়েছে।ট্রেনটিতে বৈদ্যুতিক-চুম্বকীয় শক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। লাইন স্পর্শ না করেই শূন্যে ভাসমান থেকে চলতে পারবে এটি। ঘর্ষণজনিত তাপ এড়াতে ট্রেন ও রেলের মধ্যে ফাঁক রাখা হয়েছে।গত দুদশক ধরে খুবই সীমিত পরিসরে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে চীন। সাংহাইতে স্বল্প-ম্যাগলেভ লাইন আছে। সেখানে বিমানবন্দর থেকে শহরের দিকে এই লাইন ব্যবহার করা হয়েছে।কিন্তু উচ্চ গতির জন্য ব্যবহারে চীনে এখনো আন্তঃশহর কিংবা আন্তঃপ্রদেশ ম্যাগলেভ লাইন নেই। সাংহাই ও চেংডুর মতো শহরগুলো এই লাইন ব্যবহারে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।ঘণ্টায় ৬০০ কিলোমিটার গতির একটি ট্রেনে বেইজিং থেকে সাংহাই যেতে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগবে। এই দুই শহরের মধ্যে এক হাজার কিলোমিটারের ব্যবধান রয়েছে।সেই তুলনায় বিমানে যেতে হলে তিন ঘণ্টা সময় লাগবে। আর উচ্চগতির রেলে লাগবে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা।বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ অর্থনীতির দেশ চীনের পাশাপাশি জাপান, জার্মানির মতো দেশগুলো ম্যাগলেভ নেটওয়ার্ক ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনাধীন রেখেছে। যদিও অতি খরচ ও বর্তমান অবকাঠামো এ ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আসছে বিমানের চেয়েও দ্রুতগতির ট্রেন!
0
Share.