ঢাকা অফিস: বিরোধী দল জাতীয় পার্টির নেতা কাজী ফিরোজ রশীদ সংসদে বলেছেন, আসলে কথা বলে লাভ কী? কার কথা কে শুনে? আর আমাদের কথা কেউ বিশ্বাসও করে না। এজন্য কথা বলতেও চাই না।আজ সোমবার জাতীয় সংসদে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ এ কথা বলেন।এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘আপনি একজন সজ্জন ব্যক্তি। আপনার বাবা আমার সঙ্গে মন্ত্রী ছিলেন। আপনাকে আমি চিনি। অত্যন্ত ধনাঢ্য পরিবারের ছেলে আপনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যা হচ্ছে তাতে আপনার তো কর্তৃত্ব নেই।’ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তুলে ধরে জাতীয় পার্টির এ নেতা আরও বলেন, দেশের হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন নেই। এখন সবচেয়ে বেশি দরকার অক্সিজেন। সেটা না এনে এমআরআই, সিটি স্ক্যান মেশিন এনে উপজেলায় পাঠানো হচ্ছে। তারা সব সাজিয়ে রেখে দিয়েছে। চালাতে পারে না। লক্ষ কোটি টাকা যাচ্ছে। কিন্তু জনগণ সেবা পাচ্ছে না।কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, চুরি-ডাকাতি করলে একজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা যায়। সাংবাদিককে ছয় ঘণ্টা আটকে রাখা হলো। তাঁকে টয়লেটে যেতে দেননি। অসুস্থ মানুষ, তাও মহিলা। তাঁকে এভাবে হেনস্তা করা যায়? এটা নিয়ে জাতিসংঘ, সারা পৃথিবী কথা বলল। আমাদের মুখটা কোথায় গেল? নিজেদের দুর্বলতা নিজেদের ঢাকতে হয়।অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, পিকে হালদার এত টাকা নিল। নয় মিনিটের জন্য পিকে হালদারকে ধরতে পারেনি। তাহলে নয় ঘণ্টা আগে ধরতে পারলেন না কেন? এক ব্যাংকের পরিচালক আরেক ব্যাংকের টাকা নিচ্ছেন। টাকা নিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশ পাঠাচ্ছেন। দুদকের একটি করে অফিস কানাডায়, মালয়েশিয়ায়, অস্ট্রেলিয়ায় করুন। তাহলে দেখা যাবে কে কত টাকা নিয়েছে।
আসলে আমাদের কথা কেউ বিশ্বাস করে না
0
Share.