বিনোদন ডেস্ক: শাবনূরের তালাকনামা পাঠানোর ১৫ মাস আগে আয়েশা আকতার নামে এক নারীকে বিয়ে করেন অনিক মাহমুদ। গণমাধ্যমকে এমন তথ্য দিয়ে ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী বলেন, আমি আসলে এসব নিয়ে কথা বলতে চাইনি। অনিক আমাকে বাধ্য করেছে। তিনি বলেন, আমি অনেক ভেবেচিন্তে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ভাবছিলাম, বিষয়টা চুপচাপ শেষ হয়ে যাক, কিন্তু অনিকের কথাবার্তা একেবারে অগ্রহণযোগ্য। উল্টাপাল্টা কথা বলে দেশের মানুষ ও ভক্তদের কাছে আমার ইমেজ নষ্ট করতে চাইছিল, এমনটা তো হতে দিতে পারি না। এমনকি তাকে নিয়ে কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও হুশিয়ারি করেন এই চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তবে এর আগে শাবনূর ছাড়া কাউকে বিয়ে করেননি বলে জানিয়েছিলেন অনিক মাহমুদ। শারমীন নাহিদ নূপুর ওরফে শাবনূর জানান, তিনি বিয়ে করে ভুল করেছেন। পরিবারের সবাই বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন, তাই তিনি বিয়ে করেছেন। শাবনূর বললেন, আমারও বিয়ে করার ঝোঁক তৈরি হয়। এরপর বিয়ে করেছি। বিয়ের কিছুদিন পরই মনে হয়েছে, বিয়ে করে ভুল করেছি। অনিকের ব্যাপারে যেসব তথ্য গণমাধ্যমে শাবনূর পাঠান তাতে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে পাসপোর্টে দেয়া তথ্য যাছাই করে দেখা গেছে, আয়েশা আকতার নামের একজন অনিক মাহমুদের স্ত্রী। অবশেষে ভেঙেই গেল এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূরের সংসার। গত কয়েক বছর ধরেই অবশ্য গুঞ্জন ছিল, স্বামী অনিকের সঙ্গে থাকছেন না তিনি। অনেকে বলেছেন, সংসার ভেঙে গেছে। তবে সেসব গুঞ্জন বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন এ নায়িকা। এবার সেসব গুঞ্জন নিজেই সত্যি প্রমাণ করলেন শাবনূর। বনিবনা না হওয়ায় স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয়কে তালাক দিয়েছেন তিনি। ২৬ জানুয়ারি এ নায়িকার স্বাক্ষর করা একটি তালাক নোটিশ অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে স্বামীর ঠিকানায়। তালাক নোটিশের অনুলিপি অনিকের এলাকার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং কাজী অফিস বরাবরও পাঠানো হয়েছে। নোটিশে সাক্ষী হিসেবে নুরুল ইসলাম ও শামীম আহম্মদ নামে দুজনের নাম উল্লেখ রয়েছে। নব্বই দশকের শুরুতে পরিচালক ইহতেশামের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে শাবনূরের। এর পর সালমান শাহর সঙ্গে জুটি গড়ে তুমুল আলোচনার জন্ম দেন। গত ২৬ বছর ধরেই নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন শাবনূর।
আয়েশা নামে এক নারীকে বিয়ে করেন অনিক : শাবনুর
0
Share.