ডেস্ক রিপোর্ট: ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের মতো জায়গায় ধর্ষণ এবং যৌন হয়রানি অপরাধ বেড়েই চলেছে। অথচ এ নিয়ে কীভাবে তদন্ত হচ্ছে, অপরাধীদের বিচার হচ্ছে কিনা- তা নিয়ে তেমন প্রতিবেদন হচ্ছে না। আরও মারাত্মক ব্যাপার হচ্ছে, এসব অপরাধের একটি বড় অংশই গোপন থেকে যাচ্ছে। এছাড়া বিচারের হারও অত্যন্ত কম, বছরের পর বছর লেগে যাচ্ছে বিচার করতে। ফলে ব্রিটিশ বিচার ব্যবস্থার সমালোচনা করছেন যুক্তরাজ্যের নারীবাদী কর্মীরা। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ানের এক সম্পাদকীয় বলা হয়, সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে অবস্থার উন্নতির পরিবর্তে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ বেড়েছে তিনগুণ। এই জরিপ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, অপরাধের শাস্তির হারও কমে যাচ্ছে। ২০১৯ সালে দেখা যায়, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে ৫৫ হাজার ২৫৯টি ধর্ষণের অভিযোগ আসে পুলিশের কাছে। অথচ ওই বছর বিচার হয়েছে মাত্র ৭০২টি ঘটনার। অর্থাৎ, শাস্তি তো দূরের কথা; ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে প্রতি ৭০টি ধর্ষণের ঘটনায় একটির বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় মাত্র! সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় শিগগিরই এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে তার আগেই নারীদের একটি গ্রুপ চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে অপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বর্তমান অবস্থাকে ‘নজিরবিহীন সংকট’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ধর্ষণের মতো অপরাধকে আর অপরাধ হিসেবেই দেখা হচ্ছে না। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে এটি একটি বহুমুখী সমস্যা। তবে গত কয়েক বছরে ‘মি টু’-এর মতো আন্দোলনের কারণে পুলিশের কাছে অভিযোগের সংখ্যা বেড়েছে কিনা- তা স্পষ্ট নয়। জরিপ বলছে, ধর্ষণের শিকার ৮৫ শতাংশই কিশোরী। রেনহার্ড সিনাগা নামের এক সিরিয়াল ধর্ষককে জেল দেয়া হয়। এই ধর্ষক একা ১৯৫ জনকে ধর্ষণ করেছে। তাকে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ ধর্ষক হিসেবে আখ্যা দেয়া হচ্ছে। এ কথা সত্য যে আইন এবং বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতার শিকার ভুক্তভোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী। তবে সাংবাদিক, অধিকারকর্মী এবং ভুক্তভোগীদের অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলে বিচার ব্যবস্থার এই দুর্বলতার কারণগুলো জনসম্মুখে এসেছে।
ইংল্যান্ডে বাড়ছে ধর্ষণ, বিচারের হারও কমছে
0
Share.