ঢাকা অফিস: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় তাঁরই কার্যালয়ের সাবেক এক কর্মচারী রবিউল ইসলাম জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।প্রাথমিকভাবে রবিউলকে (৪০) জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) দেবদাস ভট্টাচার্য দাবি করেন, ‘এই ঘটনায় অপরাধীদের শনাক্ত করার জন্য পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তিনি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে বক্তব্য প্রদান করেছেন। তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বেশকিছু আলামতও আমরা উদ্ধার করেছি।‘ আজ শনিবার বিকেলে দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে ব্রিফিংয়ে ডিআইজি আরো বলেন, ‘সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে সেটি মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। রিমান্ডে নিয়ে তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যেহেতু এ ব্যাপারে তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে তাই আমি মনে করি আমাদের বক্তব্য এই পর্যন্তই।‘এদিকে সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, রবিউল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক ইসরাইল হোসেন।মামলার তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, রবিউল ইউএনও ওয়াহিদার কার্যালয়ে মালি হিসেবে কাজ করতেন। গত জানুয়ারি মাসে তিনি বরখাস্ত হন। তার গ্রামের বাড়ি বিরল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, রবিউল বরখাস্ত হয়েছিলেন ইউএনওর ব্যাগ থেকে টাকা চুরির অভিযোগে। তাকে গতকাল শুক্রবার গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজকে আদালতে হাজির করা হয়।

এ ঘটনায় অবহেলার দায়ে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলামকে গতকাল শুক্রবার প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁর স্থানে আজিম উদ্দিন নামের একজনকে ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন।