ইউক্রেনের লুহানস্ক পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসের লিসিচ্যাংস্ক শহর থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর লুহানস্ক অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনা শুরু করে রাশিয়া। সেসময় রাশিয়ার দাবি ছিল দনবাস থেকে কিইভের বাহিনীগুলোকে তাড়িয়ে সেখানকার দুটি প্রদেশকে পুরোপুরি রাশিয়াসমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে তুলে দেওয়া। লুহানস্কের শেষ ঘাঁটি থেকে সেনা সরিয়ে নিলেও হারানো সব ভূমি পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল রবিবার (৩ জুলাই) ইউক্রেন বলেছে, কৌশলগত কারণে তারা সেনা প্রত্যাহার করেছে। এ সেনা প্রত্যাহারের মাধ্যমে তাদের বহু সেনার প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে। তারা পশ্চিমা বিশ্বের দূরপাল্লার অস্ত্রের সাহায্যে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে পুনরায় পাল্টা হামলা চালাতে পারবে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘যদি আমাদের সেনা কমান্ডাররা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে নির্দিষ্ট কারণে লোকজন সরিয়ে নেয়, যেমন অস্ত্রশস্ত্র বিবেচনায় শত্রুরা আমাদের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে, যেমনটা লিসিচ্যাংস্কেও হয়েছে; এর অর্ত হচ্ছে একটাই-কৌশল, সরবরাহ বাড়তে থাকা অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের সাহায্যে আমরা আবার ফিরে আসবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা আমাদের সৈন্য, আমাদের জনগণের জীবন রক্ষা করছি, যা একইসঙ্গে সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দেয়ালগুলো পুনর্নিমাণ করবো, ‍ভূমি ফেরত নেবো তবে সব কিছুর উপরে মানুষকে রক্ষা করতে হবে।’’ অন্যদিকে মস্কো বলছে, সিয়েভিয়ারোদোনেৎস্ক শহরের পর এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে লিসিচ্যাংস্ক দখলে নিয়ে তারা লুহানস্ককে পুরোপুরি ‘স্বাধীন’ করতে সক্ষম হয়েছে। তারা এখন দনবাসের ওই অঞ্চলকে লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের (স্বঘোষিত) হাতে তুলে দেবে। এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লুহানস্ককে ‘মুক্ত’ করা হয়েছে বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অবহিত করেছেন।

Share.