ডেস্ক রিপোর্ট: পোল্যান্ড আগামী দিনে ইউক্রেনে চারটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান পাঠাবে বলে ঘোষণা করেছে। পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুদা বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘প্রথম, আক্ষরিক অর্থে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে, যতদূর আমার মনে আছে, আমরা ইউক্রেনের কাছে সম্পূর্ণ কার্য ক্রমে চারটি বিমান হস্তান্তর করব। বাকিগুলি প্রস্তুত করা হচ্ছে, পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।’ স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ন্যাটোভুক্ত প্রথম কোনো দেশ হিসেবে ইউক্রেনের সরকারের জরুরি চাহিদা পূরণ করে যুদ্ধবিমান প্রদানকারী দেশ হতে যাচ্ছে পোল্যান্ড। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বারবার বলেছেন, রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে লড়াই করার জন্য তার দেশের জেট দরকার। যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই ইউক্রেনে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠানোর কথা অস্বীকার করেছে। পশ্চিমা দেশগুলি ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে অনিচ্ছুক, তারা আনতে পারে এমন স্পষ্ট সুবিধা সত্ত্বেও, একটি দীর্ঘায়িত ভয়ের কারণে যে এটি ইউক্রেনের সীমানা ছাড়িয়ে সংঘাতের প্রসার ঘটাবে। উদ্বেগ রয়েছে, এই ধরনের প্রযুক্তি পাঠানোর ফলে সংঘাত আরও বাড়তে পারে এবং ন্যাটো দেশগুলি প্রক্সি যুদ্ধ করছে বলে রাশিয়া বিবেচনা করবে। প্রেসিডেন্ট ডুদা বলেননি যে অন্য দেশগুলো একই পদক্ষেপ নেবে কিনা, যদিও স্লোভাকিয়া বলেছে তারা ইউক্রেনে তাদের অব্যবহৃত মিগ পাঠাবে। পোল্যান্ড ইউক্রেনের কাছে অস্ত্র সরবরাহের জন্য সবচেয়ে সক্রিয় মিত্রদের মধ্যে অন্যতম। প্রাথমিকভাবে চারটি পুরানো সোভিয়েত যুগের মিগ-২৯ হস্তান্তর করবে পোল্যান্ড। বাকিগুলি পরীক্ষা করার পর সরবরাহ করা হবে। প্রেসিডেন্ট ডুডা এর আগে স্কাই নিউজকে বলেছিলেন, রুশ আগ্রাসন রুখতে ইউক্রেনের ‘ভবিষ্যতে আধুনিক বিমান, যুদ্ধবিমান’ লাগবে। তবে তিনি বলেছিলেন, এটি কিছু সময়ের জন্য ঘটতে পারে না কারণ ইউক্রেনীয় পাইলটদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে। প্রেসিডেন্ট ডুডা বলেন, পোল্যান্ডের প্রায় ১০ থেকে ২টি মিগ-২৯ জেট ছিল। পোল্যান্ড ইউক্রেনে জার্মানির তৈরি ১৪টি লেপার্ড ২ ট্যাঙ্ক পাঠিয়েছে। গত সপ্তাহে ওয়ারশ কতগুলো মিগ-২৯ প্লেন সরবরাহ করতে পারে জানতে চাইলে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের প্রধান পাওয়েল স্জরট বলেন, এটা অবশ্যই ১৪টির মতো হবে না।
ইউক্রেনে অন্তত চারটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান পাঠাবে পোল্যান্ড
0
Share.